শিরোনামঃ
প্রধান উপদেষ্টাকে ৬ আন্তর্জাতিক সংগঠনের চিঠি: গুম-খুনের বিচার নিশ্চিত, আ.লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান ভুল স্বীকার করলেন জুলাই যোদ্ধারা, মামলা প্রত্যাহারের দাবি সরকারি কর্মচারীদের নতুন বেতন নির্ধারণে খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে চূড়ান্ত শুনানি মঙ্গলবার স্পন্সর ভিসায় ইতালিতে কর্মী নেয়ার আবেদন শুরু হচ্ছে নীল দুনিয়ার বাংলাদেশি ‍যুগল নিয়ে যা জানা গেলো আগুনের ঝুঁকি এড়াতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সতর্কতা জারি আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের শাহবাগে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা জনতা ব্যাংকের টাকা আত্মসাত: আতিউর-বারাকাতসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দুদকের গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হামাসকে নিরস্ত্র করার বিকল্প নেই: মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন

জামায়াতের পিআর পদ্ধতির আন্দোলন ছিল পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা: নাহিদ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫

নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলন পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির ( এনসিপি) আহবায়ক নাহিদ ইসলাম।

রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেয়া এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন তিনি।

পোস্টে নাহিদ লিখেছেন, তথাকথিত ‘আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR) আন্দোলন’, যা জামায়াতে ইসলামী শুরু করেছিল, প্রকৃতপক্ষে সেটি ছিল এক পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা।

তিনি আরও লিখেছেন, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে গঠিত হয়েছিল ঐক্যমত্য কমিশনের সংস্কার প্রক্রিয়াকে ভ্রষ্ট পথে নেয়ার জন্য এবং জাতীয় সংলাপকে জনগণের গণঅভ্যুত্থানের আলোকে রাষ্ট্র ও সংবিধানের পুনর্গঠনের প্রকৃত প্রশ্ন থেকে সরিয়ে দিতে।

নাহিদ লিখেছেন, ভোটের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে একটি উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার যে মৌলিক সংস্কার দাবি উত্থাপিত হয়েছিল, তা ছিল এক ধরনের সাংবিধানিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আমরা এমন মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে একটি আন্দোলন গড়ে তুলতে চেয়েছিলাম এবং ব্যাপক জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম।

এনসিপির এই নেতা লিখেছেন, কিন্তু জামায়াত ও তার মিত্ররা এই এজেন্ডা ছিনতাই করে এটিকে একটি প্রযুক্তিগত পিআর ইস্যুতে সীমাবদ্ধ করে ফেলে এবং তাদের সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে দর-কষাকষির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। তাদের উদ্দেশ্য কখনোই সংস্কার ছিল না; ছিল কৌশলী অপব্যবহার।

তিনি আরও লিখেছেন, জামায়াতে ইসলামী কখনোই সংস্কার আলোচনায় অংশ নেয়নি — না জুলাই অভ্যুত্থানের আগে, না পরে। তারা কোনো গঠনমূলক প্রস্তাব দেয়নি, কোনো সাংবিধানিক দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেনি, এমনকি একটি গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রতিও কোনো অঙ্গীকার দেখায়নি।

নাহিদ লিখেছেন, ঐক্যমত্য কমিশনের মধ্যে তাদের আকস্মিক সংস্কার-সমর্থন কোনো বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ ছিল না; ছিল একটি কৌশলগত অনুপ্রবেশ, সংস্কারবাদের মুখোশে রাজনৈতিক অন্তর্ঘাত। আজ বাংলাদেশের মানুষ এই প্রতারণা স্পষ্টভাবে বুঝে ফেলেছে। তারা সত্যে জেগে উঠেছে এবং আর কখনো মিথ্যা সংস্কারবাদী বা ধূর্ত শক্তির দ্বারা প্রতারিত হবে না। সর্বশক্তিমান আল্লাহ ও এই দেশের সার্বভৌম জনগণ আর কখনো অসৎ, সুযোগসন্ধানী ও নৈতিকভাবে দেউলিয়া শক্তিগুলোকে তাদের ওপর শাসন করতে দেবেন না।


এ জাতীয় আরো খবর...