প্রবল গণ আন্দোলনে পাকিস্তান সরকার ১৯৬৯ সালে শেখ মুজিবুর রহমানসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সকল আসামিকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ওই বছর ২৩শে ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক জনসভার আয়োজন করে।
লাখো জনতার সেই সমাবেশে শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। আর সেই উপাধি ঘোষণা করেন তোফায়েল আহমেদ।
১৯৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন তোফায়েল। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন মুজিব বাহিনীর অঞ্চলভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত চার প্রধানের একজন।
স্বাধীন বাংলাদেশে ৯ বার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তোফায়েল আহমেদ। সর্বশেষ তিনি ভোলা-১ আসনের এমপি ছিলেন।
দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে পরে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন তোফায়েল আহমেদ। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় তোফায়েল আহমেদকে নিজের রাজনৈতিক সচিবের দায়িত্ব দেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলে বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনা তার সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন তোফায়েলকে। এরপর ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আবারও বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
তোফায়েল আহমেদ ৯ বার জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। সর্বশেষ তিনি ভোলা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ ছাড়া দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।