শিরোনামঃ
পিআরের দাবিতে আন্দোলনকারীরা নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টায় নেমেছে: মির্জা ফখরুল পাল্টা হামলায় ৫৮ পাক সেনা হত্যার দাবি আফগানিস্তানের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব এহসানুল হক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে লাইভ চলাকালে ফেসবুক পেজে সাইবার হামলা: চিফ প্রসিকিউটর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু ইতালির উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা একা গিয়ে কী করবো, সেফ এক্সিট নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব রক্ষায় সংশ্লিষ্ট অপরাধের সুষ্ঠু ও নির্মোহ বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: বিএনপির বিবৃতি আর কোনো সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই : প্রেস সচিব পরোয়ানা জারি হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে: সেনাবাহিনী
রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫৫ অপরাহ্ন

প্রশাসক বসবে একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ইসলামি ব্যাংকে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সমস্যায় পড়া পাঁচ ইসলামি ধারার ব্যাংক একীভূত হচ্ছে। এই একীভূত প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে চলতি সপ্তাহে প্রতিটি ব্যাংকে প্রশাসক বসাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রশাসক হবেন। প্রশাসককে সহায়তা করার জন্য থাকবেন আরও চারজন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা। তারাই ব্যাংকগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এই সিদ্ধান্ত হয়। চলতি সপ্তাহে প্রশাসক বসানোর পর নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়বে ব্যাংকের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ। এমন তথ্যও জানা গেছে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংককে একীভূত করে গঠন করা হবে একটি নতুন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক। যার সম্ভাব্য নাম হবে ‘ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক’। নতুন এ ব্যাংকটির জন্য শিগগিরই লাইসেন্স ইস্যু করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ জন্য সরকার থেকে ২০ হাজার কোটি মূলধন জোগান দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

কিছুদিন আগে একীভূত করতে ব্যাংক পাঁচটির শুনানি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে ব্যাংকগুলোর প্রস্তাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় তা পরিচালনা পর্ষদে উপস্থাপন করা হয়।

পর্ষদ সভা শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সাংবাদিকদের বলেন, ব্যাংক একীভূত করতে পাঁচ বছর সময় লেগে যাবে। এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। এখন প্রশাসক দল এই ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব নেবে। আগের পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা দল বহাল থাকলেও পর্ষদ অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়বে। একীভূত প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কমিটি বাতিল হয়ে যাবে।

জানা গেছে, এই পাঁচ ব্যাংকের ৪৮ থেকে ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ এখন খেলাপি হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুসারে, একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ ৩৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারই দিচ্ছে ২০ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এসব ব্যাংকের মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি, ইউনিয়ন, গ্লোবাল ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এক্সিম ব্যাংক ছিল নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের নিয়ন্ত্রণে।


এ জাতীয় আরো খবর...