মঞ্চে ব্যালন ডি’অরজয়ী ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদিনিও। সঞ্চালক জানালেন, ছেলেদের ব্যালন ডি’অর জয়ে প্রতিদ্বন্দ্বি দুজন—উসমান দেম্বেলে ও লামিনে ইয়ামাল। অতিথিদের আসনে ‘উসমান! উসমান!’ রব উঠল। একটু সময় নিয়ে রোনালদিনিও ঘোষণা করলেন প্যারিসিয়ানদের প্রত্যাশিত নাম, ‘দেম্বেলে!’
ফ্রান্স ও পিএসজির উইঙ্গার উসমান দেম্বেলে ছেলেদের ব্যালন ডি’অরজয়ী। গত মৌসুমে পিএসজির হয়ে (লিগ, চ্যাম্পিয়নস লিগ ও সুপার কাপ) ট্রেবল জেতেন দেম্বেলে। অতিথিদের আসনে অন্যদের সঙ্গে করতালিতে যোগ দিলেন ইয়ামাল।
২০০১ সালে মাইকলে ওয়েনের পর ব্যালন ডি’অর জয়ের সময় নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করা প্রথম খেলোয়াড় দেম্বেলে। এবার ব্যালন ডি’অর জয়ে ফেবরিট ছিলেন দেম্বেলে।
থ্রি-পিয়েত! টানা তিনবার ব্যালন ডি’অর জিতলেন স্পেন ও বার্সেলোনার মিডফিল্ডার আইতানা বোনমাতি।
মেয়েদের ফুটবলে বোনমাতিই তিনবার ব্যালন ডি’অর জয়ী। টানা তিনবারজয়ী প্রথম নারী ফুটবলার তো অবশ্যই।
ছেলেদের ফুটবলে মিশেল প্লাতিনি ও লিওনেল মেসি টানা তিনবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন।
নাচের মাধ্যমে মঞ্চে নিয়ে আসা হলো দুটি বক্স। ধীরে ধীরে উন্মোচিত হলো বক্সের ডালা। ছেলে ও মেয়েদের ব্যালন ডি’অর ট্রফি!
মঞ্চে ডাকা হলো স্পেন ও বার্সেলোনা কিংবদন্তি আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাকে।
অতিথিদের আসনে ছিলেন ব্রাজিলের প্রয়াত কিংবদন্তি সক্রেটিসের ভাই ও ব্রাজিলের সাবেক মিডফিল্ডার রাই। তাঁকে ডাকা হলো মঞ্চে।
মানবিক কাজের জন্য ২০২২ সাল থেকে ব্যালন ডি’অরে সক্রেটিস পুরস্কার যোগ করা হয়। আশির দশকে ব্রাজিলে সামরিক স্বৈরাচারী সরকারের বিপক্ষে সোচ্চার ছিলেন ব্রাজিলের মিডফিল্ড কিংবদন্তি সক্রেটিস। তাঁর নামে এই পুরস্কার।
পুরস্কারটি জিতেছে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারকে সাহায্য করা জানা ফাউন্ডেশন। মঞ্চে উঠেছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র সাইরা মার্তিনেজ।
পিএসজি কোচ এনরিকের মেয়ে ছিলেন জানা। ২০১৯ সালে ৯ বছর বয়সে জানা মারা যান।
অসাধারণ উদ্যোগ!
মেয়েদের বর্ষসেরা ক্লাবের পুরস্কার জিতেছে আর্সেনাল।
ছেলেদের বর্ষসেরা ক্লাবের পুরস্কার জিতেছে পিএসজি। আর্জেন্টিনা ও পিএসজির সাবেক তারকা হাভিয়ের পাস্তোরে ঘোষণা করলেন পিএসজির নাম। পিএসজি সভাপতি নাসের আল খেলাইফি মঞ্চে উঠলেন।
পর্তুগিজ কিংবদন্তি ও ব্যালন ডি’অর বিজয়ী লুইস ফিগো মঞ্চে উঠে বছরের সেরা স্ট্রাইকারের পুরস্কার জার্ড মুলার ট্রফি বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করলেন।
মেয়েদের বিভাগে এই পুরস্কার জিতেছেন বার্সেলোনা ও পোল্যান্ডের স্ট্রাইকার এয়া পাজোর।
ছেলেদের বিভাগে এই ট্রফি জিতলেন আর্সেনাল ও সুইডেনের স্ট্রাইকার ভিক্টর ইয়োরকায়েস। গত মৌসুমে স্পোর্তিং লিসবনের হয়ে ৫২ ম্যাচে ৫৪ গোল করেন ইয়োরকায়েস।
সড়ক দূর্ঘটনায় গত জুলাইয়ে মারা যান পর্তুগাল ও লিভারপুলের ফুটবলার দিয়েগো জোতা এবং তাঁর ভাই আন্দ্রে সিলভা। সিলভাও ফুটবলার ছিলেন। তাঁদের স্মরণ করল গোটা অনুষ্ঠান।
মঞ্চে ছেলে ও মেয়েদের ফুটবলের দুই কিংবদন্তি গোলকিপার জিয়ানলুইজি বুফন ও মেরি আর্পস। বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করলেন তাঁরা।
মেয়েদের বর্ষসেরা গোলকিপারের পুরস্কার ইয়াসিন ট্রফি জিতলেন ইংল্যান্ড ও চেলসির গোলকিপার হানা হাম্পটন। ইংল্যান্ডের ইউরো জয়ে দারুণ অবদান তাঁর।
ছেলেদের বর্ষসেরা গোলকিপারের পুরস্কার ইয়াসিন ট্রফি উঠেছে ইতালি ও ম্যানচেস্টার সিটির গোলকিপার জিয়ানলুজি দোন্নারুম্মার হাতে। পিএসজির হয়ে গত মৌসুমে ট্রেবল জেতেন দোন্নারুম্মা।
১৯৬৩ সালে ব্যালন ডি’অরজয়ী রাশিয়ান গোলকিপার লেভ ইয়াসিনের নামে এই পুরস্কারের নাম রাখা হয়।
পিএসজিকে গত মৌসুম ট্রেবল জেতানো কোচ লুইস এনরিকে জিতেছেন ছেলেদের বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার ইয়োহান ক্রুইফ ট্রফি। মার্শেই-পিএসজি ম্যাচ থাকায় তিনি পুরস্কারটি নিতে অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি। তবে ভিডিওবার্তা পাঠিয়েছেন। তাঁর ট্রফি নিয়েছেন ফাবিও কাপেলো।
পিএসজিকে গত মৌসুম ট্রেবল জেতানো কোচ লুইস এনরিকে জিতেছেন ছেলেদের বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার ইয়োহান ক্রুইফ ট্রফি। মার্শেই-পিএসজি ম্যাচ থাকায় তিনি পুরস্কারটি নিতে অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি। তবে ভিডিওবার্তা পাঠিয়েছেন। তাঁর ট্রফি নিয়েছেন ফাবিও কাপেলো।
মেয়েদের বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার ইয়োহান ক্রুইফ ট্রফি জিতলেন ইংল্যান্ড নারী দলকে দুবার ইউরো জেতানো ডাচ কোচ সারিনা ভিগমান। পুরস্কারটি তাঁর হাতে তুলে দেন খ্যাতিমান কোচ ফাবিও কাপেলো।