মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গুয়াগাছিয়ায় পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্পের টহলরত পুলিশের সঙ্গে জলদস্যুতের ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত দুজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ।
তিনি বলেন, ‘পিয়াসের নেতৃত্বে ৫-৬টি ট্রলার নিয়ে অন্তত ৩০-৩৫ জন ডাকাত পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় জলদস্যুরদের পক্ষ থেকে ৪/৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরিস্থিতি আচ করতে পেরে আমরাও পজিশন ঠিক করে গুলি করতে থাকি। আমাদের দিক থেকে ২৪ রাউন্ডের মতো গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। আমাদের কোনো পুলিশ সদস্য আহত হননি। তবে কোনো সন্ত্রাসী আহত হয়েছে কিনা তা আমি বলতে পারব না।’
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, ‘নৌ ডাকাতরা সম্ভবত চাঁদা তোলার উদ্দেশ্যে নদীতে নেমেছিল। পুলিশ থাকার কারণে তারা সুবিধা করতে পারেনি। উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। আমাদের কোনো পুলিশ সদস্য আহত হননি। নৌ ডাকাতের মধ্যে কেউ আহত হয়েছেন কিনা আপনারা খবর নিয়ে দেখেন। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সামনে আরও কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ।’
প্রসঙ্গত, গজারিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গুয়াগাছিয়ায় সক্রিয় কয়েকটি নৌ-ডাকাত দল। অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা, নৌযানে চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন কারণে গত কয়েক মাসে নৌ-ডাকাত নয়ন-পিয়াস ও লালু বাহিনীর হাতে খুন হয় ডাকাত সর্দার বাবলা, স্যুটার মান্নান ও হৃদয় বাঘ। ওই এলাকায় নৌ ডাকাতদের অপতৎপরতা কমাতে ২২ আগস্ট ইউনিয়নটির জামালপুর গ্রামে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প চালু করা হয়।