শিরোনামঃ
পিআরের দাবিতে আন্দোলনকারীরা নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টায় নেমেছে: মির্জা ফখরুল পাল্টা হামলায় ৫৮ পাক সেনা হত্যার দাবি আফগানিস্তানের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব এহসানুল হক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে লাইভ চলাকালে ফেসবুক পেজে সাইবার হামলা: চিফ প্রসিকিউটর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু ইতালির উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা একা গিয়ে কী করবো, সেফ এক্সিট নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব রক্ষায় সংশ্লিষ্ট অপরাধের সুষ্ঠু ও নির্মোহ বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: বিএনপির বিবৃতি আর কোনো সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই : প্রেস সচিব পরোয়ানা জারি হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে: সেনাবাহিনী
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন

নতুন প্রধানমন্ত্রী নাকি সেনাশাসন, নেপালের সামনে কী অপেক্ষা করছে

বিশ্বকণ্ঠ ডেস্ক
প্রকাশ: বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা ঘিরে শুরু হওয়া ‘জেন জি আন্দোলন’ নেপালকে সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকটে ফেলে দিয়েছে। ফেসবুক, এক্স (সাবেক টুইটার) ও ইউটিউবসহ ২৬টি প্ল্যাটফর্মে হঠাৎ নিষেধাজ্ঞা জারি করলে তরুণদের ক্ষোভ বিস্ফোরিত হয়। দুর্নীতি, বেকারত্ব ও রাজনৈতিক স্বচ্ছতার অভাবে ক্ষুব্ধ তরুণরা আন্দোলনে নেমে আসে।

টানা সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত ও শত শত মানুষ আহত-গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবনসহ একাধিক সরকারি দপ্তর ও মন্ত্রী-শীর্ষ নেতাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। চাপে পড়ে প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা অলি এবং প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাওডেল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) পদত্যাগ করেন। পরে জানা যায়, অলি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকও পুলিশের গুলিতে প্রাণহানির দায় স্বীকার করে পদ থেকে সরে দাঁড়ান। যদিও পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়, তবু বিক্ষোভ থামেনি। আন্দোলনকারীরা এখন কেবল ডিজিটাল স্বাধীনতা নয়, বরং গভীর রাজনৈতিক ও কাঠামোগত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছে।

এদিকে, চলমান বিশৃঙ্খলার মধ্যে নেপালি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জনগণকে সংযমের আহ্বান জানিয়েছে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব, সংস্কৃতি ও সম্পদ রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেনারা বলেছেন, তারা জাতীয় নিরাপত্তা ও ঐক্য নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

নেপালের সংবিধানের ২৬৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সেনা মোতায়েনের সুযোগ দুটি ক্ষেত্রে আছে-দুর্যোগ বা উন্নয়ন কাজে (ধারা ৪) এবং সশস্ত্র বিদ্রোহ, বহিঃশত্রুর হুমকি বা মারাত্মক দাঙ্গার সময় (ধারা ৬)। প্রেসিডেন্ট, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ ও মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে সেনা মোতায়েন সম্ভব।বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ২৬৭(৬) ধারা প্রয়োগ সাংবিধানিকভাবেই বৈধ হতে পারে।

কে নেতৃত্ব দেবেন নেপালকে: রাজনৈতিক শূন্যতার মধ্যে কাঠমান্ডুর মেয়র ও সাবেক সংগীতশিল্পী বালেন্দ্র শাহ নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সম্ভাব্য মুখ হয়ে উঠেছেন। স্বাধীন ও তরুণসুলভ ভাবমূর্তির কারণে বিশেষ করে জেন জি প্রজন্ম তার পক্ষে সমর্থন দিচ্ছে। তবে পরিস্থিতি জটিল। পার্লামেন্ট, সুপ্রিম কোর্ট ও প্রেসিডেন্সির মতো প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলোও অস্থিরতায় জড়িত। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সমঝোতার সরকার বা জোটভিত্তিক নেতৃত্ব গঠনের পরই নতুন নির্বাচন বা স্থিতিশীলতা ফেরানোর প্রচেষ্টা শুরু হতে পারে। আপাতত, নেপালের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে যাবে তা অনিশ্চিত।


এ জাতীয় আরো খবর...