বাড়িভাড়া ৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে খালি প্লেট নিয়ে ভুখামিছিল শুরু করেছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
আজ রোববার বেলা সোয়া তিনটায় শিক্ষক-কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে খালি প্লেট নিয়ে শিক্ষা ভবন অভিমুখে এ মিছিল শুরু করেন। এতে অংশ নিয়েছেন হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী।
তবে শিক্ষক-কর্মচারীদের মিছিলটি দোয়েল চত্বর হয়ে হাইকোর্ট মোড়ে এলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। হাইকোর্ট মোড়ে পুলিশের শতাধিক সদস্য এবং ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করতে দেখা গেছে। শিক্ষক-কর্মচারীরা সেখানে এক ঘন্টা অবস্থান করে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আবার শহীদ মিনারে ফিরে যান।
এ সময় শিক্ষক-কর্মচারীরা ‘হয়তো দাবি মেনে নে, নয়তো বুকে বুলেট দে’, ‘৫%–এর প্রজ্ঞাপন, মানি না মানব না’, ‘প্রহসনের প্রজ্ঞাপন, মানি না, মানব না’, ‘সি আর আবরার, আর নয় দরকার’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল শুরুর আগে শিক্ষক-কর্মচারীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব দেলোয়ার হোসেন আজিজী।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সরকার ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া দিয়ে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে। আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার, এটা আমরা মানি না। আমরা মনে করি, এটা আমাদের আন্দোলনের প্রাথমিক বিজয়। চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন থামবে না।’
শিক্ষকদের ভুখামিছিল আজ দুপুর ১২টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল। দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, তাঁরা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাই ভুখামিছিল শুরু হতে দেরি হলো।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে এই শিক্ষক নেতা বলেন, ‘আমরা আমাদের দাবি তুলে ধরেছি। আমরা মনে করি, বিএনপি এই দাবির প্রতি একমত পোষণ করে।’
দেলোয়ার হোসেন বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁদের বলেছেন, শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি আদায়ে তাঁরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।
বিকেল চারটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হাইকোর্ট মোড়ে পুলিশ এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মুখোমুখি অবস্থানে আছেন। সেখানে পুলিশের দুটি জলকামান ও সাঁজোয়া যান মোতায়েন আছে।
এর আগে আজ দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশ (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ (সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা) বাড়িভাড়াসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। তাঁরা ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া দেওয়ার প্রস্তাব আগেই প্রত্যাখ্যান করেছেন। এখনো তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ অষ্টম দিনের মতো শিক্ষক-কর্মচারীদের কর্মসূচি চলছে।