আধা ঘন্টার বৃষ্টিতে ফেনী শহরের প্রধান সড়কগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। রোববার দুপুরে আড়াইটা থেকে বৃষ্টি শুরু হলে ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কে ২ ফুট উপরে দিয়ে পানি গড়িয়ে যেতে দেখা গেছে। তবে ফেনী পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা টিমকে সাথে নিয়ে দ্রুত পানি সরাতে কাজ করছে ফেনী পৌর প্রশাসকসহ কর্মকর্তাবৃন্দ। আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, আড়াইটা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ফেনীতে ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
ফেনী পৌরসভার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, শহরের দ্বিতীয় প্রধান সড়ক শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের সমবায় সুপার মার্কেট, শহর পুলিশ ফাঁড়ি, ডা হায়দার হাসপাতাল সড়ক, এসি মার্কেটের সামনে, পুলিশ কোয়ার্টার রাস্তার মাথা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্টার লাইন বাস টার্মিনাল, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডসহ পুরো সড়ক জুড়ে পানি প্রবাহ রয়েছে। এতে করে রিকশা ও সিএনজিতে ঝুঁকে নিয়ে মানুষ পারাপার করছে।
এদিকে শহরের বিভিন্ন সড়কের জলবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এজন্য তারা পৌর কর্তৃপক্ষের গাফলতিকে দায়ী করছেন।
শহরের পাঠানবাড়ী সড়কের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমগীর কবির জানান, পাঠানবাড়ি রোড এলাকার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। একদিকে রাস্তা তছনছ হয়ে আছে, অপরদিকে সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তাতে আর চলাচলের উপায় থাকে না। এ এলাকায় অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। কোমলমতি শিশুরা এসব সড়ক পার হতে গিয়ে নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছেন।
ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, আজ রোববার আড়াইটা থেকে সাড়ে ৩টা ফেনীতে ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মূলত ভারী বৃষ্টির কারণে ফেনী শহরের বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
ফেনী পৌরসভার প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন বলেন, শহরের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন সড়কের অলিতে-গলিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফেনী পৌর এলাকায় পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এ ধরনের জলবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। তারপরও আমরা মাঠে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টি বন্ধ থাকলে পানি নেমে যাবে৷
ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা নাসরিন কান্তা বলেন, ফেনীতে বৃষ্টির কারণে শহর ও গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন সড়কে পানি জমে আছে।