শিরোনামঃ
পিআরের দাবিতে আন্দোলনকারীরা নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টায় নেমেছে: মির্জা ফখরুল পাল্টা হামলায় ৫৮ পাক সেনা হত্যার দাবি আফগানিস্তানের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব এহসানুল হক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে লাইভ চলাকালে ফেসবুক পেজে সাইবার হামলা: চিফ প্রসিকিউটর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু ইতালির উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা একা গিয়ে কী করবো, সেফ এক্সিট নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব রক্ষায় সংশ্লিষ্ট অপরাধের সুষ্ঠু ও নির্মোহ বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: বিএনপির বিবৃতি আর কোনো সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই : প্রেস সচিব পরোয়ানা জারি হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে: সেনাবাহিনী
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন

হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষ্য দিলেন খোকন চন্দ্র

স্টাফ রিপেোর্টার
প্রকাশ: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষ্য দিয়েছেন আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ। তিনি ৫ই আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিলেন। রোববার (৩ আগস্ট) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ এই সাক্ষ্য দেন খোকন চন্দ্র বর্মণ নামের এই মাইক্রোবাসচালক।

জবানবন্দিতে তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশ তার মাথা লক্ষ্য করে গুলি করে। গুলি তার চোখ, নাক ও মুখে লাগে।’ এ সময় সাক্ষী খোকন চন্দ্র বর্মণ মাস্ক খুলে ট্রাইব্যুনালে তার মুখ দেখান। দেখা যায়, তার বা চোখ, নাক ও মুখ পুরোটাই বিকৃত হয়ে গেছে।

খোকন চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘যারা হাজার হাজার মানুষকে মেরেছিল, তাদের জন্য শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান দায়ী। আমি তাদের বিচার চাই।’

পরে মামলায় পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে জেরা করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। জেরায় সাক্ষীকে আমির হোসেন প্রশ্ন করেন, ‘আপনি যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে দায়ী করলেন, তার দলিল আছে? জবাবে খোকন চন্দ্র বর্মণ বলেন, না।’

জেরায় সাক্ষীকে আমির হোসেন আরও বলেন, ‘আন্দোলনকারী ছাত্রজনতা আগ্নেয়াস্ত্র এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। এতে যাত্রাবাড়ী থানার ১৩ থেকে ১৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত ও আহত হন। পুলিশের ওপর হামলায় ছাত্রজনতা যেসব দেশি অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন এবং সেই অস্ত্রের আঘাতে আপনি আহত হয়েছেন।’ জবাবে খোকন চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘এসব কথা অসত্য।’


এ জাতীয় আরো খবর...