শিরোনামঃ
পিআরের দাবিতে আন্দোলনকারীরা নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টায় নেমেছে: মির্জা ফখরুল পাল্টা হামলায় ৫৮ পাক সেনা হত্যার দাবি আফগানিস্তানের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব এহসানুল হক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে লাইভ চলাকালে ফেসবুক পেজে সাইবার হামলা: চিফ প্রসিকিউটর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু ইতালির উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা একা গিয়ে কী করবো, সেফ এক্সিট নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব রক্ষায় সংশ্লিষ্ট অপরাধের সুষ্ঠু ও নির্মোহ বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: বিএনপির বিবৃতি আর কোনো সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই : প্রেস সচিব পরোয়ানা জারি হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে: সেনাবাহিনী
রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৮ অপরাহ্ন

ইউপিডিএফের অপরিপক্ব আন্দোলনের মাশুল গুনছে খাগড়াছড়িবাসী: পার্বত্য উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক সহিংসতা প্রসঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, ‘ইউপিডিএফ’র (ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) অপরিপক্ব আন্দোলনের মাশুল গুনেছে খাগড়াছড়িবাসী। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে রাঙামাটি শহরে শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে মন্দির পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এক কিশোরীকে ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ডাকা অবরোধকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলায় সম্প্রতি সহিংসতা হয়। এমনকি ২৮ সেপ্টেম্বর সেখানে প্রাণঘাতী সংঘাত হয়েছে। সেই রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, গুইমারা উপজেলায় দুষ্কৃতকারীদের হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১৩ জন সেনাসদস্য, গুইমারা থানার ওসিসহ তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর ভাষ্যে, ভারত বা ফ্যাসিস্টদের ইন্ধনে খাগড়াছড়িতে অস্থিরতা চলছে।

পার্বত্য উপদেষ্টা বলেন, পাহাড়িরা সব সময় একটি স্লোগান দেয়—পাহাড় থেকে সেনা হটাও। এই দুনিয়াতে কিছু বাস্তবতা আছে, তার বাইরে আমাদের যাবার সুযোগ থাকে না। এমন দিন আসবে, আমরা চাইলেও তারা (সেনাবাহিনী) এখানে থাকবে না। এমনও সময় আসবে আমরা তাদের জড়িয়ে থাকবো। আবার সময়ে আসবে, তখন তাদের বলবো—চলে যাও। সুতরাং বাস্তবতাকে বুঝতে হবে। শর্ত যখন পরিপূর্ণ হবে, তখন আমরাই অনুধাবন করবো, তারা থাকবে না, চলে যাবে।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, সব মিলেই কেন ভালো দিকে এগিয়ে যেতে পারছি না। দেবী দুর্গার আশীর্বাদে এই প্রার্থনা করি—আমরা সবাই যেন শান্তিতে, ভালোভাবে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে থাকতে পারি। এটাই আমার কামনা ও বাসনা।

এসময়  রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষেদর সদস্য বৈশালী চাকমা, সাগরিকা রোয়াজাসহ সনাতনী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


এ জাতীয় আরো খবর...