ইয়েমেনের রাজধানী সানার একটি অ্যাপার্টমেন্টে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরান-সমর্থিত হুতিদের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আল-রাহাভি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আল-জুমহুরিয়া টেলিভিশনের বরাতে টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাহাভির সঙ্গে তার বেশ কয়েকজন সহযোগীও প্রাণ হারিয়েছেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ হামলাটি ছিল সানার বাইরে হুতি সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ প্রায় ১০ শীর্ষ মন্ত্রীর ওপর চালানো আরেকটি আক্রমণের বাইরে আলাদা অভিযান। ওই বৈঠকে হুতি নেতা আবদুল মালিক আল-হুতির ভাষণ শোনার কথা ছিল।সেই হামলার ফলাফল এখনো পরিষ্কার নয়।
ইসরায়েলি চ্যানেল কান জানায়, এক বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন রাহাভি, তবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাননি তিনি। অন্যদিকে এন টুয়েলভের খবরে বলা হয়, তিনি ইরান ও হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন এবং সরাসরি অনুমোদন দিয়েছিলেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমণের।
আরব গণমাধ্যমগুলো জানায়, প্রায় ১০ দফা হামলা চালানো হয়েছে ইয়েমেনের সানায়। ইয়েমেনি সূত্রের বরাতে কান আরও জানায়, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের ভেতরেও হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে হুতি সরকারের কয়েকজন নেতাকে।
দ্যা টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবারের এই হামলাটি গত সপ্তাহে ইসরায়েলে হুতির চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরপরই করা হয়েছে, যেখানে একাধিক যুদ্ধাস্ত্র এবং ক্লাস্টার বোমা বহনকারী একটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হুতি। ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপাতিত করা হলেও নতুন এ ধরনের অস্ত্রের ব্যবহার ইসরায়েলের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।