ইসরায়েলের আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের গাজায় উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ হাজার ৪৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) এই তথ্য জানিয়েছে উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর আনাদুলুর।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে ৯৮টি মৃতদেহ আনা হয়েছে। ফলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া আগ্রাসনে নিহত বেড়ে ৬০ হাজার ৪৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন করে এক হাজার ৭৯ জন আহত হয়েছেন, ফলে মোট আহত বেড়ে হয়েছে এক লাখ ৪৮ হাজার ৭২২ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, বহু মরদেহ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে বা সড়কে পড়ে রয়েছে যাদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না, কারণ ইসরায়েলি অবরোধ ও টানা বোমাবর্ষণে উদ্ধারকারী দলগুলো সেখানে পৌঁছাতে পারছে না। এছাড়া হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু রয়েছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ৩৯ জন, এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮৪৯ জন। এর মাধ্যমে ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত সহায়তা নিতে গিয়ে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪২২ জন। এ সময়ে ত্রাণ নিতে গিয়ে আহত হয়েছেন ১০ হাজার ৬৭ জনের বেশি মানুষ।
আরও পড়ুন : অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ আনতে গিয়ে নিহত ১০০
জাতিসংঘ, রেড ক্রিসেন্ট ও অন্যান্য সংস্থা বারবার গাজায় তীব্র খাদ্য সংকট, পানির অভাব, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিপর্যয় এবং শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির মারাত্মক বিস্তারের কথা জানিয়ে আসছে। একাধিক জাতিসংঘ সংস্থা জানিয়েছে, হাজার হাজার মানুষ অনাহারে মৃত্যুর মুখে, এবং একে “নীরব গণহত্যা” বলেও অভিহিত করা হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়লেও ইসরায়েল নিজেদের “আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ” বলে দাবি করে চলেছে। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, যুদ্ধবিরোধী বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে ইসরায়েল অবিচার ও বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে।