কক্সবাজার জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই ক্ষুব্ধ দর্শকের হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষে পণ্ড হয়ে গেছে।
১২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে শহরের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটে। এতে সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সাংবাদিকসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এ সময় স্টেডিয়াম এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
অভিযোগ উঠেছে, অতিরিক্ত টিকিট বিক্রির কারণে দর্শকেরা জায়গা না পেয়ে এ ঘটনার উদ্ভব হয়েছে। দুপুর থেকে দর্শকেরা খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে জড়ো হন। টেকনাফ উপজেলা ফুটবল দল ও রামু উপজেলা ফুটবল দলের মধ্যকার এ খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল বিকাল ৪ টায়।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আসন সংখ্যার চেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি ও ৫০ টাকার টিকিট ৫০০ টাকায় বিক্রির অভিযোগে দর্শকের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খেলা শুরু হওয়ার আগেই গ্যালারি ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়েন বেশ কিছু দর্শক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি সামাল দিয়ে খেলা শুরু করার চেষ্টা চালায়।
কিন্তু ক্ষুব্ধ দর্শকেরা স্টেডিয়ামের বাইরে গিয়ে এবং গ্যালারি থেকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে স্টেডিয়ামের কাঁচ ভেঙে যায় এবং কক্সবাজার সদরের ইউএনও নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরীসহ কমপক্ষে ৪০/৫০ জন আহত হয়েছে। আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, কিছু উচ্ছৃঙ্খল দর্শক স্টেডিয়ামে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর চালিয়েছে। এ কারণে ম্যাচ স্থগিত করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। এতে আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্যও আহত হয়েছে।
টুর্নামেন্ট পরিচালনার কমিটির আহ্বায়ক কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, গ্যালারি ভর্তি হওয়ায় কিছু দর্শককে বের করার চেষ্টা করলে তাঁরা উত্তেজিত হয়ে হামলা করে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠে রয়েছে। কি কারণে এ ঘটনার উদ্ভব হয়েছে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।