শিরোনামঃ
পিআরের দাবিতে আন্দোলনকারীরা নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টায় নেমেছে: মির্জা ফখরুল পাল্টা হামলায় ৫৮ পাক সেনা হত্যার দাবি আফগানিস্তানের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব এহসানুল হক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে লাইভ চলাকালে ফেসবুক পেজে সাইবার হামলা: চিফ প্রসিকিউটর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু ইতালির উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা একা গিয়ে কী করবো, সেফ এক্সিট নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব রক্ষায় সংশ্লিষ্ট অপরাধের সুষ্ঠু ও নির্মোহ বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: বিএনপির বিবৃতি আর কোনো সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই : প্রেস সচিব পরোয়ানা জারি হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে: সেনাবাহিনী
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন

কোন মিডিয়া কার হয়ে কাজ করছে, নজরদারিতে রয়েছে: সারজিস

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। কিন্তু এখন আমরা প্রতিটি ধাপ পর্যবেক্ষণ করছি। কোন মিডিয়া কার হয়ে কাজ করছে, প্রশাসনের কোনো অংশ জনগণের পরিবর্তে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করছে, সেসব নজরদারিতে রয়েছে। আজ (মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই) দুপুরে টাঙ্গাইলে এনসিপির পদযাত্রা শেষে শহরের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

এনসিপি নেতা বলেন, ‘আমরা আগামীর বাংলাদেশে মিডিয়াকে দালাল হিসেবে দেখতে চাই না। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে মিডিয়া ব্যবহার হতে পারে না। মিডিয়াকে প্রোপাগান্ডা ছেড়ে গণমানুষের পক্ষে কথা বলার মাধ্যম হতে হবে।’

সারজিস বলেন, ‘চব্বিশ-পূর্ববর্তী সময়ে কিছু মিডিয়া অন্ধভাবে একটি দলের হয়ে কাজ করেছে। আজ তাদের সংবাদকর্মীরাই লজ্জা পান এসব গণমাধ্যমে কাজ করার কথা বলতে। আমরা চাই না, চব্বিশ-পরবর্তী বাংলাদেশে কোনো মিডিয়ার এমন করুণ দশা হোক।’

টাঙ্গাইলের আলোচিত মারুফ হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে আমরা প্রশাসনের কোনো দৃশ্যমান তৎপরতা দেখিনি। এখনও টাঙ্গাইলের কিছু ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও দল জুলাই-আগস্টের শহিদদের বিচারের পথে বাধা সৃষ্টি করছে, মামলা বাণিজ্যে লিপ্ত রয়েছে। আমরা তাদের চিহ্নিত করছি।’

চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আর কোনো চাঁদাবাজিকে বরদাস্ত করা হবে না। কেউ চাঁদাবাজকে রক্ষা করতে এলে তাকেও চাঁদাবাজির ভাগিদার হিসেবে বিবেচনা করা হবে।’

সারজিস অভিযোগ করেন, ‘পছন্দের জেলা ছাড়া দেশের অন্যান্য জেলাকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল জেলাও এর শিকার। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ধ্বংসের পথে দেশের তাঁতশিল্প। দেশের বাইরে পর্যন্ত যাদের পরিচিতি, সেই ভাসানীকে ইতিহাস থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে, অথচ তাকে ঘিরেই সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়তে পারতো।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভাসানী হল এখন মাদকের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। যমুনা পাড়ের মানুষ কোনো উন্নয়ন পায়নি, বরং নেতাকর্মীরা বরাদ্দ লুট করেছে।’

প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘চব্বিশ-পরবর্তী বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আমরা জনগণের বাহিনী হিসেবে দেখতে চাই। কোনো দল, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দালাল হিসেবে নয়।’

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়কারী নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক আজাদ খান ভাসানী, টাঙ্গাইল জেলার মুখ্য সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রাসেলসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতারা।

এর আগে টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজ থেকে পদযাত্রা বের করে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশস্থলে পৌঁছায় এনসিপির নেতাকর্মীরা। এদিকে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে ও সমাবেশস্থলে মোতায়েন ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য।


এ জাতীয় আরো খবর...