কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর মোহনায় মাছ ধরতে যাওয়া এক নৌকার পাঁচ জেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। ১২ আগস্ট (মঙ্গলবার) সকাল ৯টার দিকে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, স্থানীয় কোস্টগার্ড ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা হলেন টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ার মোহাম্মদ ইলিয়াস (৪১), তাঁর ছেলে মোহাম্মদ নুর হোসেন (১৮) ও আক্কাল আলী (২০), কালু মিয়ার ছেলে সাবের হোসেন (২২) এবং মোহাম্মদ নুর হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (২৫)।
সাবরাং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম জানান, সকালে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে তাঁরা মাছ ধরতে যান। এ সময় আরাকান আর্মির সদস্যরা স্পিডবোটে এসে তাঁদের ধাওয়া করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যান। পাশের নৌকায় থাকা অন্য জেলেরা ফিরে এসে মালিককে বিষয়টি জানান।
শাহপরীর দ্বীপ ক্ষুদ্র মৎস্য সমিতির সভাপতি আবদুল গনি বলেন, একই পরিবারের তিনজনসহ পাঁচ জেলে ইলিয়াসের মালিকানাধীন নৌকায় মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। তাঁদের মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জেলেদের স্বজনেরা কোস্টগার্ড ও বিজিবিকে খবর দিয়েছেন।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি, তবে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।’
উল্লেখ্য, এর আগে ৫ আগস্ট সকালে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া-সংলগ্ন নাফ নদীর জলসীমা থেকে দুই জেলেকে একইভাবে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। তাঁদের এখনো ফেরত দেওয়া হয়নি।
এ ছাড়া গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আরাকান আর্মি ২১১ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে বিজিবির প্রচেষ্টায় কয়েক দফায় ১৮৯ জন জেলে এবং ২৭টি নৌকা ফেরত আনা হয়েছে।