ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ৫০৯ জন। এর মধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ে ৪৬২টি মনোনয়নপত্র বৈধ ও ৪৭টি ত্রুটিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন চিফ রিটার্নিং অফিসার।
এছাড়া, ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৪৮ জন, জিএস পদে ১৯ জন ও এজিএস পদে ২৮ জন।
প্রায় তিন দশক পর ২০১৯ সালে নতুন করে অনুষ্ঠিত হয় ডাকসু নির্বাচন। এরপর এবার পুনরায় ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারের নির্বাচনে পাঁচ প্যানেলের মধ্যে ভোটের লড়াই হবে বলে মনে করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৮টি হল সংসদে ২৩৪টি পদের জন্য ১ হাজার ৪২৭টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছিল। এর মধ্যে ১ হাজার ১০৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। বাকি ৩১৮টি জমা পড়েনি।
আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ (গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ) এবং অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪ (বামপন্থী তিন সংগঠনের যৌথ প্যানেল)।
এর আগে প্যানেল ঘোষণা করেছিল প্রতিরোধ পর্ষদ (বামপন্থী সাত ছাত্রসংগঠনের যৌথ প্যানেল), ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট (ইসলামী ছাত্রশিবির), ডিইউ ফার্স্ট (মাহিন সরকার নেতৃত্বাধীন স্বতন্ত্র প্যানেল), ডাকসু ফর চেঞ্জ, ভোট ফর চেঞ্জ (ছাত্র অধিকার পরিষদ), ছাত্র ফেডারেশন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন এবং সম্মিলিত ছাত্র ঐক্য (স্বতন্ত্র প্যানেল)।
প্যানেল ছাড়াও অনেকে ডাকসুর বিভিন্ন পদে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র কিনেছেন। তাদের মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে প্রার্থী হওয়া জুলিয়াস সিজার তালুকদারকে নিয়ে ক্যাম্পাসে আলোচনা আছে। কারণ, তিনি এক সময় ছাত্রলীগের (এখন নিষিদ্ধ) নেতা ছিলেন। বিভিন্ন পক্ষ তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দাবি তুললেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার প্রার্থিতা বহাল রেখেছে।
এ জাতীয় আরো খবর...