নিহতরা হলেন- বাসের হেলপার রবিউল ইসলাম (৩৬) ও অজ্ঞাতনামা সুপারভাইজর (২৮)। গুরুতর আহত হন গাড়ি চালক রফিক (৬০)। পুলিশ ও আহতদের সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার থেকে ঢাকা যাচ্ছিল শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস। ফেনীর লালপোল হাফিজিয়া এলাকায় পৌঁছালে সড়কে একটি ট্রাক হঠাৎ দাঁড়িয়ে যায়। এসময় বাসটি ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে বাসের হেলপার নিহত হয়। গুরুতর আহত চালক ও সুপারভাইজরকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিলে সুপারভাইজারকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বাস চালককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। আহত ঢাকার ট্রাভেলস ব্যবসায়ী মোয়াজ্জেম হোসেন আকাশ, তার স্ত্রী সাথী ঢাকায় চিকিৎসাধীন। অন্য আহতরা ফেনী, কুমিল্লা ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহত আকাশ মানবজমিনকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ঢাকার কাঁকরাইল থেকে মেরিল্যান্ড হাউজিং কোম্পানীর কর্মকর্তা ও গ্রাহকরা পরিবারের প্রায় ৭শ’ সদস্য ৩০টি গাড়ি করে কক্সবাজার যান। সেখানে দুইদিন অবস্থানের পর শনিবার রাত ১১ টার দিকে কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে তাদের গাড়িবহর ছাড়ে। পথে চট্টগ্রাম এলাকায় সাময়িক বিরতি দিয়ে ফের যাত্রার পর থেকেই দুর্ঘটনার শিকার বাস চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারের চোখে ঘুম ভাব দেখা দেয়। সুপারভাইজারের পেছনের সিটে বসে থাকা যাত্রী আকাশ এনিয়ে কয়েকবার তিনজনকে সাবধানও করেন। অন্য যাত্রীরাও চালকের আচরণ দেখে সর্তক করেন। চট্টগ্রাম সীমান্তে ছেড়ে ফেনী এলায় প্রবেশ করলে সুপারভাইজার চালকের পেছনে ঘুমিয়ে পড়েন। আর হেলপার দরজার পাশে তার জন্য সংরক্ষিত শিটে ঘুমে বিভোর ছিলেন। আর চালকের ঘুমের ভাব দেখা দেয়। তখন বৃষ্টিও হচ্ছিল উল্লেখ করে আহত আরেক যাত্রী বলেন ফজরের নামাজের জন্য অন্য ২৯টি বাস একসাথে বিরতি দিলেও তাদেরটি ঢাকার দিকে এগিয়ে যায়। ফেনীর লালপুল হাফিজিয়া এলাকায় পৌছালে সড়কের পাশে পার্কিং করে থাকা বালু ভর্তি ট্রাকে ধাক্কা দিলে বাসটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে হেলপার মারা যান। আহত অবস্থায় ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিলে সুপারভাইজর মারা যান। আর চালকের এক হাত শরীর থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, আর দুই পাও বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।