ইসলামাবাদ বিমান হামলার অভিযোগ স্বীকারও করেনি, আবার অস্বীকারও করেনি। তবে কাবুলকে আহ্বান জানিয়েছে ‘পাকিস্তানবিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন’ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) আশ্রয় দেয়া বন্ধ করতে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের হামলার জবাবে শনিবার রাতে হেলমান্দ, কান্দাহার, জাবুল, পাকতিকা, খোস্ত, নাঙ্গারহার এবং কুনার প্রদেশে পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর চৌকি লক্ষ্য করে হামলা চালায় আফগান বাহিনী। এই প্রদেশগুলো পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে অবস্থিত।
আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এনায়েতুল্লাহ খোয়ারাজমি বলেছেন, এটি পাকিস্তানের আফগান আকাশসীমা লঙ্ঘনের জবাবে পাল্টা অভিযান ছিল। তিনি বলেন, স্থানীয় সময় মধ্যরাতে আক্রমণটি শেষ হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি প্রতিপক্ষ আবারও আফগানিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে, তাহলে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আকাশসীমা রক্ষায় প্রস্তুত আছে এবং কঠোর জবাব দেবে।
এদিকে নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে রোববার পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম পিটিভি জানিয়েছে, আফগানিস্তানের তালেবানের হামলার জবাবে দেশটির সীমান্তের ১৯টি আফগান সীমান্ত চৌকি দখল করেছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী।
সূত্র আরও জানিয়েছে, চৌকিতে থাকা আফগান তালেবান নিহত হয়েছেন এবং বাকি সদস্যরা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়েছেন। কিছু চৌকিতে আগুন লাগার ঘটনাও ঘটেছে।
রেডিও পাকিস্তান জানিয়েছে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তালেবানের মনোজবা ক্যাম্প ব্যাটালিয়ন সদর দফতর, জান্দুসার পোস্ট, তুর্কমেনজাই ক্যাম্প এবং খারচর দুর্গ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানের দিক থেকে গোলাগুলির লক্ষ্য ছিল খাওয়ারিজ গঠনগুলোকে পাকিস্তানের সীমান্তে প্রবেশ করানো। তবে, সতর্ক ও প্রস্তুত পাকিস্তানি পোস্ট দ্রুত এবং জোরালো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।