২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয়ের কারণে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষার্থী সংকট। ফলাফলে গণিতে ব্যাপক ভরাডুবির কারণে এবার একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কুমিল্লা বোর্ডে ৪৬৮টি কলেজে প্রায় দেড় লাখ আসন খালি থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইউএনবি
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরিসংখ্যান বলছে, বোর্ডের অধীনে থাকা ৪৬৮টি কলেজে মোট আসন সংখ্যা ২ লাখ ৫৯ হাজার ২৬০টি। কিন্তু ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বোর্ডের আওতাধীন ছয় জেলায় উত্তীর্ণ হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৬ হাজার ৫৮১ জন শিক্ষার্থী। ফলে এবার ১ লাখ ৫২ হাজার ৬৭৯টি আসন ফাঁকা থাকছে।
এ বিষয়ে বোর্ডের উপ-কলেজ পরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন মজুমদার জানান, শুধু ফল খারাপই নয়, শিক্ষার্থী ভর্তি না হওয়ার আরও কিছু কারণ রয়েছে। যেমন- বাল্যবিয়ে, বিদেশগমন, দরিদ্রতা এবং অন্যান্য বোর্ডে ভর্তির প্রবণতা। ২০২৪ সালে এসএসসি পাস করেও ১৯ হাজার ৪৫৬ জন শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তি হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বেশ কিছু কলেজে প্রত্যাশিত সংখ্যক শিক্ষার্থী পাওয়া কঠিন হবে। দেড় লাখের বেশি আসন খালি থাকতে পারে।
তবে ভর্তির আবেদন কার্যক্রম ৩০ জুলাই থেকে শুরু হয়ে চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২২০ টাকা। ভর্তির সব প্রক্রিয়া হবে অনলাইনে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শহরের কলেজগুলোতে তুলনামূলক চাহিদা বেশি থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, কুমিল্লা সরকারি কলেজ এবং কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড মডেল কলেজ রয়েছে শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দের তালিকায়।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর মাসউদ বলেন, এবার কুমিল্লা বোর্ড লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে পরীক্ষা নিয়েছে। ফলে শিক্ষার প্রকৃত চিত্র উঠে এসেছে। মানসম্মত পাঠদানের কলেজগুলো শিক্ষার্থী পেতে সমস্যা করবে না।
গ্রামীণ অঞ্চলের কলেজগুলোতে সংকট কিছুটা বেশি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন চৌদ্দগ্রাম আলহাজ্ব নূর মিয়া ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মহিব বুল্লাহ। তবে তিনি মনে করেন, এতে শিক্ষার মান উন্নত হবে।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখনো বিষয়টি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। তবে শিক্ষার্থী সংকটের কারণে অনেক কলেজের অস্তিত্ব নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।