শিরোনামঃ
পিআরের দাবিতে আন্দোলনকারীরা নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টায় নেমেছে: মির্জা ফখরুল পাল্টা হামলায় ৫৮ পাক সেনা হত্যার দাবি আফগানিস্তানের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব এহসানুল হক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে লাইভ চলাকালে ফেসবুক পেজে সাইবার হামলা: চিফ প্রসিকিউটর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু ইতালির উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা একা গিয়ে কী করবো, সেফ এক্সিট নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব রক্ষায় সংশ্লিষ্ট অপরাধের সুষ্ঠু ও নির্মোহ বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: বিএনপির বিবৃতি আর কোনো সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই : প্রেস সচিব পরোয়ানা জারি হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে: সেনাবাহিনী
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন

ফিলিস্তিনে মৃত্যুর মিছিলে আজ প্রাণ গেল ৬৭ জনের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

গাজা সিটি দখলের মিশনে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ইসরাইলি বাহিনী। প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছে ভয়াবহ তাণ্ডব। একদিনের ব্যবধানে ধ্বংস করেছে আরও একটি বহুতল ভবন। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) গাজাজুড়ে হামলায় একদিনে প্রাণ হারিয়েছে আরও ৬৭ ফিলিস্তিনি।

জানা গেছে, গাজা সিটিতে যে কয়েকটি স্থাপনা টিকে আছে সেগুলো লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করছে ইসরাইলি বাহিনী।

শনিবার হামাসের আস্তানা দাবি তুলে গুড়িয়ে দেওয়া হয় ১৫তলা সুসি টাওয়ার। ভবনটির ঠিক উলটো দিকেই জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডাব্লিউএ) এর কার্যালয়।

এদিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরে যেতে ক্রমাগত নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে তেলআবিব। যদিও পর্যাপ্ত সময় না দিয়েই ফেলা হচ্ছে বোমা। বিমান হামলার পাশাপাশি চলছে পদাতিক বাহিনীর স্থল অভিযান। দেইর আল বালাহ, খান ইউনিসসহ গাজার অন্যান্য এলাকায়ও সমান তালে চলছে আগ্রাসন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের ফলে এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ৬৪ হাজার ৪৩৫ জন নিহত এবং এক লাখ ৬২ হাজার ৩৬৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। হাজার হাজার মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই ভয়াবহতা থামানোর কোনো ইঙ্গিত নেই ইসরাইলের পক্ষ থেকে। ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ শনিবার এক্স–এ একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে গাজা সিটির একটি উঁচু ভবন ধসে পড়ার দৃশ্য দেখা যায়। ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।’

ইসরাইল দাবি করেছে, হামাস ওই ভবন নজরদারির কাজে ব্যবহার করছিল। তবে এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি এবং হামাস ওই দাবি অস্বীকার করেছে।

গাজার ওপর এ ধরনের তীব্র ও লাগাতার হামলা এবং সহায়তা প্রত্যাশীদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা পরিস্থিতিকে মানবিক বিপর্যয় হিসেবে আখ্যা দিয়ে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও মানবিক করিডোর খোলার আহ্বান জানিয়েছে।

কিন্তু ইসরাইলের কণ্ঠে আপাতত কোনো নরম সুর নেই—তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে, গাজা সিটিতে অভিযান চলবে, থামবে না।


এ জাতীয় আরো খবর...