মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ আগস্ট থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত নবাবপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর ও মোবারকঘোনার বড় ফেনী নদীর পাড় থেকে আসামিরা অবৈধভাবে ড্রেজিং মেশিন ব্যবহার করে বালু-মাটি উত্তোলন ও সরকারি জমি দখল করে মাছের প্রকল্প স্থাপন করে। এতে নদীর তীর ভাঙন, বালুর চর সৃষ্টি ও বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, ৯ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকার কলমির চর থেকে আরেক দল আসামি স্কেভেটর মেশিন ব্যবহার করে সরকারি জমি কেটে মাটি উত্তোলন, জমির শ্রেণি পরিবর্তন ও মাছের প্রকল্প স্থাপন করেছে।
এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, আসামিরা বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ (সংশোধনী ২০২৩), ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ লঙ্ঘন করেছে। এ বিষয়ে প্রশাসন একাধিকবার যৌথ অভিযান পরিচালনা করলেও আসামিরা পুনরায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও সরকারি জমি দখল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
সোনাগাজী মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েজিদ আকন বলেন, এ ঘটনায় বুধবার থানায় একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা করা হবে।