দন্ডপ্রাপ্ত কিশোরের নাম ওমর আলী হায়দার। ঘটনার সময় তার বয়স ছিলো ১৫ বছর। তিনি ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চর মজলিশপুর ইউনিয়নের চান্দলা গ্রামের কামলা বাড়ির মোমিনুল হকের ছেলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর বাড়ির পাশে বক ধরাকে কেন্দ্র করে কামলা বাড়ির রিপনের ছেলে মো. রিপাত হোসেনের সাথে আলী হায়দারের ঝগড়া বাঁধে। এক পর্যায়ে ওমর আলী হায়দার গলা চিপে ধরলে ৮ বছর বয়সী রিপাতের মৃত্যু হয়। রাত পর্যন্ত রিপাতের সন্ধান না পেয়ে বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ওমর আলীর সহযোগিতায় বেলালের জমি থেকে রিপাতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এঘটনায় রিপাতের চাচা আনোয়ার হোসেন শিপন বাদী হয়ে ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর ওমর আলী হায়দারকে একমাত্র আসামী করে সোনাগাজী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই দিন এ মামলায় ওমর আলী হায়দারকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানোর আগেই তিনি ঘটনা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। মামলাটি তদন্ত করে পরের বছর ৩০ জুন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন এসআই একেএম সায়েদের রহমান। আদালত মামলাটির যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে একমাত্র আসামী ওমর আলী হায়দারকে দ্যা প্যানেল কোড ৩০৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ফরিদ উদ্দিন হাজারী বলেন, আসামী ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তার বিরুদ্ধে আনীত হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এএনএম মোর্শেদ খান তাকে ৭ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।