২০২৫ সালের ৬ জুলাই পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ১৭ হাজার ৮৯৬ জন অনিবন্ধিত (অবৈধ) বিদেশি (পিএটিআই) আটক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসিউশন ইসমাইল।
দেশটির স্টার অনলাইন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এসব আটকপ্রাপ্তকে ইমিগ্রেশন বিভাগের অধীনে পরিচালিত ২০টি ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে, যার মধ্যে ১৮টি স্থায়ী ডিপো এবং দুটি অস্থায়ী ডিপো রয়েছে। এছাড়া দেশটির বাইতুল মাহাব্বাহ পরিচালিত বিদেশি শিশুদের জন্য ছয়টি শিশু আটক কেন্দ্রেও রয়েছে।
দেশটির পাকাতান হারাপান দলের বুকিত বেনডেরা এলাকার সাংসদ, সাইরলিনা আবদুল রশিদের প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন লিখিত জবাবে বলেন, “ইমিগ্রেশন বিভাগের আটককেন্দ্রগুলোর মোট ধারণক্ষমতা ২১ হাজার ৫৩০ জন। যে কোনো সময়ে এসব ডিপোতে ১৬ হাজার থেকে ১৮ হাজার জন পর্যন্ত আটক থাকে, যা গ্রেপ্তার ও ছেড়ে দেয়ার ওপর নির্ভর করে।”
স্টার অনলাইন জানিয়েছে, সাইরলিনা জানতে চেয়েছিলেন, মোট কতটি আটককেন্দ্র রয়েছে, প্রতিটিতে কয়জন আটক আছেন এবং তাদের মধ্যে কেউ কি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) স্বীকৃতি পেয়েছেন কি না। এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো জানিয়েছেন, বর্তমানে মোট আটকপ্রাপ্তদের মধ্যে ৭৮ শতাংশ বা ১৩ হাজার ৯৯২ জন পুরুষ এবং ২২ শতাংশ বা ৩ হাজার ৯৭৪ জন নারী রয়েছে। জাতীয়তার ভিত্তিতে চারটি দেশের নাগরিক ৯০.৭ শতাংশ আটক রয়েছে। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মিয়ানমার—যাদের সংখ্যা ৭ হাজার ৪৫৩ জন। এর পরই রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, ৩ হাজার ৮১৭ জন এবং তার পরপরই রয়েছে বাংলাদেশের, ১ হাজার ১৩৬ জন।
পত্রিকাটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে আরো জানিয়েছে, আটক থাকাদের গড় মেয়াদ ০ থেকে ৩ বছরের মধ্যে এবং ২০২৫ সালের ৬ জুলাই পর্যন্ত কোনো আটকপ্রাপ্ত ইউএনএইচসিআর কার্ডধারী নন। তবে আটকপ্রাপ্তদের মধ্যে মোট ৪ হাজার ৭১৯ জন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা রয়েছে বলে যোগ করেছেন সাইফুদ্দিন।