জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মক ভোটিংয়ের আয়োজন করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী শনিবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এই মক ভোটিং কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংস্থাটির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

তিনি বলেন, আগামী শনিবার সকাল ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মক ভোটিং আয়োজন করা হবে। শেরে বাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আমরা এই মক ভোটিং (রিহার্সাল) পরিচালনা করব। যেহেতু জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে, তাই পুরো প্রক্রিয়া আরও দক্ষভাবে সম্পন্ন করতে আমরা আগেই অভিজ্ঞতা ঝালাই করে নিতে চাই।

এই মক ভোটিংয়ের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো লাগবে কি না, কোথাও সমন্বয় প্রয়োজন কি না, ভোটকক্ষ ও জনবল বাড়বে কিনা এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান সচিব আখতার আহমেদ।

তিনি আরও বলেন, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে হওয়ার অধ্যাদেশ সোমবার জারি হয়েছে। প্রস্তুতি বিষয়ে বলতে চাই- আভাস পাওয়ার পর থেকেই আমরা মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছি। কাগজে-কলমে ও মাঠপর্যায়ের প্রস্তুতিও আগেই শুরু করা হয়েছে। আপনারা বরং খুশি হবেন যে আমরা অগ্রিম প্রস্তুতি নিয়ে কাজ এগিয়ে রাখছি। অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে সমন্বয়েও আমরা কাজ করছি এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধনের সময়সীমা তুলে দেয়া হয়েছে বলে জানান ইসি সচিব। আখতার আহমেদ বলেন, ১৮ই নভেম্বর আমরা প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করি এবং বিশ্বকে আটটি অঞ্চলে ভাগ করে প্রতিটি অঞ্চলের জন্য ৫ দিন করে সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। এখন থেকে সেই অঞ্চলভিত্তিক সীমাবদ্ধতা এবং পাঁচ দিনের সময়সীমা তুলে নেয়া হচ্ছে। বুধবার রাত ১২টার পর প্রবাসীরা বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে, যেকোনো সময় নিবন্ধন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ১৮ ডিসেম্বরই নিবন্ধনের শেষ তারিখ -এটি অপরিবর্তিত থাকবে।

তিনি বলেন, নিবন্ধন উন্মুক্ত করার ফলে কিছু কারিগরি ত্রুটি বা হিকআপ হতে পারে। যেমন- কিছু জায়গায় ওটিপি পৌঁছায়নি-এমন সমস্যা আমরা পেয়েছি। যেসব ত্রুটি পাওয়া যাবে, সেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সংশোধনের চেষ্টা করা হবে। আমাদের টেকনিক্যাল সহকর্মীরা আশ্বস্ত করেছেন যে যেসব সমস্যা আসবে, তা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সমাধান করা হবে।