রাজধানীর পূর্বাচলের ‘প্লট দুর্নীতির’ তিন মামলায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে এসব মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছেন।
এর আগে গত ৩১ জুলাই প্লট দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার সঙ্গে তাদের সন্তানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিশেষ জজ আদালত।
যাদের মধ্যে তিন মামলায় শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন বিচারক। প্লট দুর্নীতির আরও তিন মামলায় শেখ রেহানা, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৩ আগস্ট দিন ধার্য রয়েছে।
শেখ পরিবারের বাইরে যে ১৬ জন আসামি তালিকায় রয়েছেন, তারা হলেন— জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে তাদের নামে ১০ কাঠা করে ছয়টি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এরপর ১২ জানুয়ারি প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার ও নিয়মের অভিযোগে পুতুলের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করে দুদক। এরপর বাকিদের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়।