আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ইউরোপে প্রবেশের নিয়মে বড় রকমের পরিবর্তন আসছে। এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম (EES) নামে একটি নতুন ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হচ্ছে, যা শেঙ্গেন অঞ্চলে প্রবেশকারী অন-ইইউ নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করবে। এই সিস্টেমে বায়োমেট্রিক ডেটা (আঙুলের ছাপ ও ফেসিয়াল স্ক্যান) নেওয়া হবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্রমণকারীর গতিবিধি ট্র্যাক করা হবে।
EES কী এবং কাদের জন্য প্রযোজ্য:
যাদের জন্য প্রযোজ্য:
– অন-ইইউ নাগরিক (যেমন: বাংলাদেশি, ভারতীয়, পাকিস্তানি পাসপোর্টধারী)।
– শর্ট-স্টে ভিসায় (৯০ দিন/১৮০ দিনের মধ্যে) শেঙ্গেন জোনে প্রবেশকারী।
যাদের জন্য প্রযোজ্য নয়:
– ইইউ/শেঙ্গেন নাগরিক।
– দীর্ঘমেয়াদি ভিসাধারী (যেমন: কাজের ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা)।
EES কিভাবে কাজ করবে?
– পাসপোর্ট স্ট্যাম্পের বদলে ডিজিটাল ডেটা সংগ্রহ।
– বায়োমেট্রিক স্ক্যানিং: প্রথম প্রবেশে আঙুলের ছাপ ও ফেসিয়াল রেকগনিশন নেওয়া হবে।
– স্বয়ংক্রিয় ট্র্যাকিং: কত দিন থাকলেন, কখন বের হলেন—সব রেকর্ড করা হবে।
– ওভারস্টে চেক: ৯০ দিনের বেশি থাকলে সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিপোর্ট করবে।
ভ্রমণকারীদের জন্য কী পরিবর্তন আসছে?
ইতিবাচক:
– পাসপোর্ট স্ট্যাম্পের ঝামেলা কমবে (অটোমেটেড গেট ব্যবহার করা যাবে)।
– ভিসা ফ্রড ও আইডেন্টিটি চুরি কমবে।
চ্যালেঞ্জ:
– প্রথম প্রবেশে সময় বেশি লাগতে পারে (বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া)।
– ছোট এয়ারপোর্ট/ট্রেন স্টেশনে প্রযুক্তিগত সমস্যা হতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
ইফেক্টিভ ডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৫ (২৯টি দেশে, শেঙ্গেন জোন + সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, আইসল্যান্ড)।
ডেটা প্রাইভেসি: ইইউ দাবি করছে, “ডেটা সর্বোচ্চ সুরক্ষিত থাকবে।”
আপনার মতে, এই নতুন ডিজিটাল বর্ডার নিয়ম ইউরোপে ভ্রমণকে কতটা সহজ করবে? এবং নতুন প্রযুক্তির জন্য আপনি কতটা প্রস্তুত