শিরোনামঃ
পিআরের দাবিতে আন্দোলনকারীরা নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টায় নেমেছে: মির্জা ফখরুল পাল্টা হামলায় ৫৮ পাক সেনা হত্যার দাবি আফগানিস্তানের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব এহসানুল হক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে লাইভ চলাকালে ফেসবুক পেজে সাইবার হামলা: চিফ প্রসিকিউটর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু ইতালির উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা একা গিয়ে কী করবো, সেফ এক্সিট নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব রক্ষায় সংশ্লিষ্ট অপরাধের সুষ্ঠু ও নির্মোহ বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: বিএনপির বিবৃতি আর কোনো সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই : প্রেস সচিব পরোয়ানা জারি হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে: সেনাবাহিনী
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন

যে ভাবে তৈরি পোশাকে শুল্ক ছাড় পেতে পারে বাংলাদেশ: বিজিএমইএ

স্টাফ রিপেোর্টার
প্রকাশ: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে কার্যকর শুল্ক হার সাড়ে ৩৬ শতাংশ দাঁড়াবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান। এর মধ্যে দর-কষাকষির পর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক ও বিদ্যমান শুল্ক সাড়ে ১৬ শতাংশ যুক্ত হবে। শনিবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ওই শুল্ক থেকে অব্যাহতি পাবেন তারা, যাদের পণ্যে অন্তত ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক সংক্রান্ত সর্বশেষ নির্বাহী আদেশে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যদি পণ্যে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল যেমন; আমেরিকান তুলা ব্যবহার হয়, তাহলে অতিরিক্ত ২০ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ আমেরিকার কাঁচামাল ব্যবহার করলে আমরা বাড়তি শুল্ক থেকে মুক্তি পাবো। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া পোশাকের ৭৫ শতাংশই তুলার তৈরি।

তবে বিজিএমইএ সভাপতি সতর্ক করে বলেন, আমাদের আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশকে শুল্ক কমানোর সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। সামনে আরও চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

মাহমুদ হাসান খান যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি ভারসাম্যপূর্ণ শুল্ক কাঠামো ঘোষণা করেছে, যা বিগত প্রায় চার মাস ধরে আমাদের উদ্বেগের কারণ ছিল। বাংলাদেশ থেকে অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে, যা আমাদের প্রধান পোশাক রপ্তানিকারী প্রতিযোগীদের তুলনায় সমান বা কাছাকাছি। যেমন চীনের শুল্ক ৩০ শতাংশ ও ভারতের ২৫ শতাংশ, যা বাংলাদেশের তুলনায় বেশি।


এ জাতীয় আরো খবর...