র্যাঙ্কিংয়ে লাওসের মেয়েরা ১০৭ নম্বরে আর বাংলাদেশের মেয়েরা ১২৮ নম্বরে। একে তো ২৭ ধাপ পিছিয়ে, এরপর খেলা লাওসের মাঠে। সবমিলিয়ে লড়াইটা বাংলাদেশের জন্য কঠিনই হওয়ার কথা ছিল। তবে মাঠের খেলায় দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরাই। দুর্দান্ত এক জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে পিটার বাটলারের দল।
গতকাল এএফসি এশিয়ান অনূর্ধ্ব’২০ টুর্নামেন্টের বাছাইপর্বের ম্যাচে লাওসের ঘরের মাঠে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ। জোড়া গোল করেন সাগরিকা আর মু্নকির পা থেকে আসে বাকি গোলটি। এফএসি বাছাইপর্বে এর আগে ২০১৯ সালে একবারই অংশ নেয় বাংলাদেশ। ওইবার গ্রুপ পর্বে সব ম্যাচ হেরে বাড়ি ফেরে মেয়েরা। এবার বাংলাদেশের গ্রুপে অন্য দুই দল শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়া ও অপেক্ষাকৃত দুর্বল তিমুরলেস্তে। দক্ষিণ কোরিয়া এই গ্রুপের হট ফেভারিট। বাংলাদেশের লক্ষ্য গ্রুপের রানার্সআপ নিশ্চিত করে বাকি আট গ্রুপের মধ্যে সেরা তিন রানার্সআপ হয়ে চূড়ান্ত পর্ব খেলা। সেক্ষেত্রে লাওসকে হারাতেই হতো আর সেটা দারুণভাবে করলো স্বপ্না-সাগরিকারা।
ম্যাচের শুরু থেকেই এদিন লাওসের রক্ষণে আক্রমণ করতে থাকে বাংলাদেশের মেয়েরা। ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে বক্সের মধ্যে লাফিয়ে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন সাগরিকা। তিন মিনিট পর বাংলাদেশ ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত। তবে শিখার দূরপাল্লার শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে। এরপর বাংলাদেশ আরও কয়েকটি আক্রমণ করলেও প্রথমার্ধে গোলসংখ্যা আর বাড়াতে পারেনি।
প্রথমার্ধে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দাপুটে ফুটবলই খেলেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে লাওস কাউন্টার অ্যাটাক কিংবা বাংলাদেশের ভুল পাসে বল পেয়ে কয়েকটি আক্রমণ করেছে। এর মধ্যে দুই-একটি গোলের সুযোগও ছিল অবশ্য। তবে সেটা কাজে লাগাতে পারেনি তারা।
দ্বিতীয়ার্ধেও দাপট বজায় রাখে বাংলাদেশ। ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে গোল ব্যবধান দ্বিগুন করেন মুনকি আক্তার। ডি বক্সের সামনে থেকে সতীর্থের থ্রু পাস ধরে এগিয়ে যান তিনি, এরপর প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারকে ছিটকে দিয়ে লাওস গোলরক্ষকের কাছের পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠান। ম্যাচের শেষদিকে এসে ব্যবধান কমায় লাওস। অতিরিক্ত সময়ে ব্যবধান ৩-১ করেন মুনকি খাতুন। ম্যাচে সেটা তার দ্বিতীয় গোল।