রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্যে ভারতের ওপর জরিমানা শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বর্তমানে ভারতীয় পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করেছে আমেরিকা। ভারত ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের শুল্কের পরিপ্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। এই আবহের মধ্যেই কোনরকম তোয়াক্কা না করে রাশিয়ার সঙ্গে যে ভারতের সম্পর্ক অটুট থাকবে, তা একটি সমঝোতা স্বারক (মৌ) স্বাক্ষরের মাধ্যমে স্পষ্ট করে দিয়েছে দিল্লি। ভারত-রাশিয়া আধুনিকীকরণ ও শিল্প সহযোগিতা বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের ১১তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় ৬ই আগস্ট। সেখানেই অ্যালুমিনিয়াম, সার, রেলপথ এবং খনির প্রযুক্তিতে সহযোগিতা আরও গভীর করার জন্য একটি মৌ স্বাক্ষর করেছে ভারত ও রাশিয়া। এরই সঙ্গে রেয়ার আর্থ খনিজ পদার্থ নিয়েও পারস্পরিক বৃদ্ধির সুযোগ নিয়েও চুক্তি হয়েছে দুই দেশের।
রাশিয়া ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের বিষয়ে ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়া থেকে পণ্য কেনা বন্ধ করার জন্য ভারতের উপর যথেষ্ট শুল্ক আরোপের বিষয়ে রাশিয়া সতর্ক করেছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা এমন অনেক বক্তব্য শুনি যা আসলে হুমকিস্বরূপ, দেশগুলিকে রাশিয়ার সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করার প্রচেষ্টা। আমরা এই ধরনের বক্তব্যকে বৈধ বলে মনে করি না।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের প্রথম দফার শুল্ক কার্যকর
ডনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় আমদানির উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পদক্ষেপকে কড়া ভাষায় নিন্দা করেছে ভারত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে অন্যায়, অন্যায্য এবং অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছে। ভারত পুনর্ব্যক্ত করেছে যে, জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন ভারত তাই করবে। ভারতের মতে, সামগ্রিক শুল্ক ৫০ শতাংশে বৃদ্ধির মার্কিন পদক্ষেপ অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
ভারত তার অবস্থানে দৃঢ় এবং বিদেশনীতির ক্ষেত্রে কোনও চাপের কৌশলের কাছে হুমকির সম্মুখীন হবে না বলেও জানিয়েছে। ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ট্রাম্পের দ্বিচারিতা নীতির সমালোচনা করেছে। চীন রাশিয়া থেকে তেল ও এলপিজি আমদানি করে ভারতের চেয়ে অনেক বেশি। অথচ চীনের প্রতি ভিন্ন নীতি নিয়েছেন ট্রাম্প। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিজেরা রাশিয়া থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ করেনি। অথচ ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাতে ভারতের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে।