বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত পুরস্কার ব্যালন ডি’অর ২০২৫-এর সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে আয়োজক ফ্রান্স ফুটবল। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় এই তালিকা প্রকাশ করে আয়োজক কমিটি। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হবে এবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ীর নাম।
প্রকাশিত এই তালিকায় ছেলে ও মেয়েদের ব্যালন ডি’অরের জন্য মনোনীত হয়েছেন ৩০ জন করে তারকা ফুটবলার। এছাড়াও থাকছে সেরা ক্লাব, কোচ, গোলরক্ষক ও অনূর্ধ্ব-২১ শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়দের ক্যাটাগরিও। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন ম্যান সিটির স্প্যানিশ তারকা মিডফিল্ডার রদ্রি।
গতবারের মতো এই বছরও সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পাননি ফুটবলের দুই মহাতারকা লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। মেসি ব্যালন দ’র জিতেছেন রেকর্ড আটবার, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার রোনালদো।
ব্যালন ডি’অর (পুরুষ)
উসমান দেম্বেলে – পিএসজি (ফ্রান্স), জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা – পিএসজি (ইতালি), জুড বেলিংহাম – রিয়াল মাদ্রিদ (ইংল্যান্ড), দেজিরে দুয়ে – পিএসজি (ফ্রান্স), ডেনজেল ডামফ্রিস – ইন্টার মিলান (নেদারল্যান্ডস), সেরহু গিরাসি – বরুসিয়া ডর্টমুন্ড (গিনি), আর্লিং হালান্ড – ম্যানচেস্টার সিটি (নরওয়ে), ভিক্টর ইয়োকেরেস – আর্সেনাল (সুইডেন), আশরাফ হাকিমি – পিএসজি (মরক্কো), হ্যারি কেইন – বায়ার্ন মিউনিখ (ইংল্যান্ড), খিচা কাভারেস্কাইয়া – পিএসজি (জর্জিয়া), রবার্ট লেভানদোভস্কি – বার্সেলোনা (পোল্যান্ড), আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার – লিভারপুল (আর্জেন্টিনা), লাউতারো মার্টিনেজ – ইন্টার মিলান (আর্জেন্টিনা), স্কট ম্যাকটমিনে – নাপোলি (স্কটল্যান্ড), কিলিয়ান এমবাপ্পে – রিয়াল মাদ্রিদ (ফ্রান্স), নুনো মেন্দেস – পিএসজি (পর্তুগাল), জোয়াও নেভেস – পিএসজি (পর্তুগাল), পেদ্রি – বার্সেলোনা (স্পেন), কোল পালমার – চেলসি (ইংল্যান্ড), মাইকেল ওলিসে – বায়ার্ন মিউনিখ (ফ্রান্স), রাফিনহা – বার্সেলোনা (ব্রাজিল), ডেকলান রাইস – আর্সেনাল (ইংল্যান্ড), ফাবিয়ান রুইজ – পিএসজি (স্পেন), ভার্জিল ফন ডাইক – লিভারপুল (নেদারল্যান্ডস), ভিনিসিয়ুস জুনিয়র – রিয়াল মাদ্রিদ (ব্রাজিল), মোহাম্মদ সালাহ – লিভারপুল (মিসর), ফ্লোরিয়ান ভির্টজ – লিভারপুল (জার্মানি), ভিতিনহা – পিএসজি (পর্তুগাল) ও লামিনে ইয়ামাল – বার্সেলোনা (স্পেন)।
ব্যালন ডি’অর (নারী)
লুসি ব্রোঞ্জ – চেলসি (ইংল্যান্ড), বারবারা বান্দা – অরল্যান্ডো প্রাইড (জাম্বিয়া), আইতানা বোনমাতি – বার্সেলোনা (স্পেন), স্যান্ডি বাল্টিমোর – চেলসি (ফ্রান্স), মারিওনা কালদেন্তেই – আর্সেনাল (স্পেন), ক্লারা বিউল – বায়ার্ন মিউনিখ (জার্মানি), সোফিয়া কান্তোরে – ওয়াশিংটন স্পিরিট (ইতালি), স্টেফ ক্যাটলি – আর্সেনাল (অস্ট্রেলিয়া), মেলচি দ্যুমরনে – লিওঁ (হাইতি), টেমওয়া চাউয়িঙ্গা – কানসাস সিটি কারেন্ট (মালাউই), এমিলি ফক্স – আর্সেনাল (যুক্তরাষ্ট্র), ক্রিশ্চিয়ানা জিরেল্লি – জুভেন্টাস (ইতালি), এস্থের গনসালেস – গোথাম এফসি (স্পেন), ক্যারোলিন গ্রাহাম হানসেন – বার্সেলোনা (নরওয়ে), পাত্রি গুইহারো – বার্সেলোনা (স্পেন), আমান্ডা গুতিয়েরেস – পালমেইরাস (ব্রাজিল), হানা হ্যাম্পটন – চেলসি (ইংল্যান্ড), পেরনিল হার্ডার – বায়ার্ন মিউনিখ (ডেনমার্ক), লিন্ডসে হিপস – লিওঁ (যুক্তরাষ্ট্র), ক্লোয়ি কেলি – আর্সেনাল (ইংল্যান্ড), মার্তা – অরল্যান্ডো প্রাইড (ব্রাজিল), ফ্রিদা লেওনহার্ডসেন মানউম – আর্সেনাল (নরওয়ে), এভা পাওর – বার্সেলোনা (পোল্যান্ড), ক্লারা মাতেও – প্যারিস এফসি (ফ্রান্স), আলেসিয়া রুসো – আর্সেনাল (ইংল্যান্ড), ক্লাউদিয়া পিনা – বার্সেলোনা (স্পেন), আলেক্সিয়া পুতেয়াস – বার্সেলোনা (স্পেন), ইয়োহানা রিটিং কানেরিউড – চেলসি (সুইডেন), ক্যারোলিন ওয়িয়ার – রিয়াল মাদ্রিদ (স্কটল্যান্ড) ও লিয়া উইলিয়ামসন – আর্সেনাল (ইংল্যান্ড)।
বর্ষসেরা ক্লাব (পুরুষ)
ক্লাব বিশ্বকাপজয়ী চেলসি ও চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী পিএসজি ছাড়াও সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা। ইউরোপের বাইরের ক্লাবও আছে একটি ব্রাজিলের বোতাফোগো।
বার্সেলোনা (স্পেন), বোতফোগো (ব্রাজিল), চেলসি (ইংল্যান্ড) ও পিএসজি (ফ্রান্স)।
বর্ষসেরা ক্লাব (নারী)
পুরুষ ফুটবলের মতো মেয়েদের সেরা ক্লাবের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছে দুটি ইংলিশ ক্লাব ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন আর্সেনাল ও ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন চেলসি।
আর্সেনাল (ইংল্যান্ড), বার্সেলোনা (স্পেন), চেলসি (ইংল্যান্ড), লিওঁ (ফ্রান্স) ও অরলান্ডো প্রাইড (যুক্তরাষ্ট্র)।
বর্ষসেরা কোচ (পুরুষ দল)
কে হবেন বর্ষসেরা পুরুষ দলের কোচ সেটি অনুমান করা একটু কঠিনই। নামগুলো দেখুন।
আন্তোনিও কন্তে (নাপোলি), লুইস এনরিকে (পিএসজি), হান্সি ফ্লিক (বার্সেলোনা), এনজো মারেস্কা (চেলসি) ও আর্নে স্লট (লিভারপুল)।
বর্ষসেরা কোচ (নারী দল)
ইংল্যান্ডকে ইউরো জেতান সারিনা ভিগমান, ব্রাজিলকে কোপা আমেরিকা জেতানো আর্থুর ইলিয়াসও আছেন সংক্ষিপ্ত তালিকায়।
সোনিয়া বোমপাস্তোর (চেলসি), আর্থুর ইলিয়াস (ব্রাজিল), জাস্টিন মাডুগু (নাইজেরিয়া), রেনে স্লেজার্স (আর্সেনাল) ও সারিনা ভিগমান (ইংল্যান্ড)।
লেভ ইয়াসিন ট্রফি (পুরুষ গোলরক্ষক)
অ্যালিসন বেকার (লিভারপুল ও ব্রাজিল), ইয়াসিন বুনু (আল হিলাল ও মরক্কো), লুকাস শেভালিয়ে (লিল ও ফ্রান্স), থিবো কোর্তোয়া (রিয়াল মাদ্রিদ ও বেলজিয়াম), জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা (পিএসজি ও ইতালি), এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (অ্যাস্টন ভিলা ও আর্জেন্টিনা), ইয়ান অবলাক (আতলেতিকো মাদ্রিদ ও স্লোভেনিয়া), দাভিদ রায়া (আর্সেনাল ও স্পেন), মাত্জ সেলস (নটিংহাম ফরেস্ট ও বেলজিয়াম) ও ইয়ান সোমার (ইন্টার মিলান ও সুইজারল্যান্ড)।
লেভ ইয়াসিন ট্রফি (নারী গোলরক্ষক)
আন-কাটরিন বার্গার (গাথাম এফসি ও জার্মানি), কাতা কয় (বার্সেলোনা ও স্পেন), হানা হ্যাম্পটন (চেলসি ও ইংল্যান্ড), চিয়ামাকা এনাদোজি (ব্রাইটন ও নাইজেরিয়া) ও ড্যাফণে ফন ডমসেলার (আর্সেনাল ও নেদারল্যান্ডস)।
কোপা ট্রফি (অনূর্ধ্ব-২১ পুরুষ খেলোয়াড়)
তালিকায় রয়েছে কিছু বড় নাম! পিএসজির দেজিরে দুয়ে ও জোয়াও নেভেসের সঙ্গে আছেন বার্সেলোনার লামিনে ইয়ামালও।
পাও কুবারসি (বার্সেলোনা ও স্পেন), আইয়ু্ব বুয়াদ্দি (লিল), দেজিরে দুয়ে (পিএসজি ও ফ্রান্স), এস্তেভাও উইলিয়ান (চেলসি ও ব্রাজিল), ডিন হাউসেন (রিয়াল মাদ্রিদ ও স্পেন), মাইলস লুইস-স্কেলি (আর্সেনাল ও ইংল্যান্ড), রদ্রিগো মোরা (পোর্তো ও পর্তুগাল), জোয়াও নেভেস (পিএসজি ও পর্তুগাল), লামিন ইয়ামাল (বার্সেলোনা ও স্পেন) ও কেনান ইলদিজ (জুভেন্টাস ও তুরস্ক)।
নারী কোপা ট্রফি (অনূর্ধ্ব-২১)
প্রথমবার দেয়া হবে এই ট্রফি।
মিশেল আগিয়েমাং (আর্সেনাল ও ইংল্যান্ড), লিন্ডা কাইসেদো (রিয়াল মাদ্রিদ ও কলম্বিয়া), ভিকি কাপটিন (চেলসি ও নেদারল্যান্ডস), ক্লাউদিয়া মার্টিনেজ ওভান্দো (ক্লাব অলিম্পিয়া ও প্যারাগুয়ে) ও ভিকি লোপেজ (বার্সেলোনা ও স্পেন)।