শিরোনামঃ
পিআরের দাবিতে আন্দোলনকারীরা নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টায় নেমেছে: মির্জা ফখরুল পাল্টা হামলায় ৫৮ পাক সেনা হত্যার দাবি আফগানিস্তানের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব এহসানুল হক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে লাইভ চলাকালে ফেসবুক পেজে সাইবার হামলা: চিফ প্রসিকিউটর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু ইতালির উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা একা গিয়ে কী করবো, সেফ এক্সিট নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব রক্ষায় সংশ্লিষ্ট অপরাধের সুষ্ঠু ও নির্মোহ বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: বিএনপির বিবৃতি আর কোনো সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই : প্রেস সচিব পরোয়ানা জারি হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে: সেনাবাহিনী
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০৭ অপরাহ্ন

জুলাই অভ্যুত্থান: রাজধানীর ৫০ থানায় কত মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫
জুলাই অভ্যুত্থানে বিজয় উল্যাস ছাত্র-জনতার। ফাইল ছবি

চব্বিশের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পতন ঘটে আওয়ীমী লীগ সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। আন্দোলনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের ক্যাডারদের হামলা ও গুলিতে নিহত ও আহত হন অসংখ্য মানুষ। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ১৪শ’ নিহত ও ২৩ হাজার আহতের তথ্য তুলে ধরা হয়।

আন্দোলনের সময় হত্যা ও হত্যাচেষ্টা অভিযোগে এখন পর্যন্ত (৫ আগস্ট ২০২৫) রাজধানীর ৫০ থানায় মামলা দায়ের হয় ৭০৭টি। এ সব মামলায় আসামি করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলটির শীর্ষস্থানীয় কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে।

 

মামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক এমপি মমতাজ বেগম, এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, আব্দুস সোবহান গোলাপ, আ ক ম সরওয়ার জাহান বাদশাসহ ৫ হাজার ৭৯ জন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।
 
গ্রেফতার হন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক আইজিপি মো. শহিদুল হক ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ২৩ জন পুলিশ সদস্য। গ্রেফতার অপর পুলিশ সদস্যরা হলেন- সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান মিয়া (৬৪), সাবেক ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম (৫২), সাবেক ডিসি তানভির সালেহীন ইমন, সিলেটের সাবেক পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান (৪৬), সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান (৪৪), ডিবি লালবাগ জোনের সাবেক ডিসি মশিউর রহমান (৪৮), অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ধানমন্ডি জোন) আব্দুল্লাহ হিল কাফি (৩৯), সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. তানজিল আহমেদ (৩৭), এডিসি মো. শাহেন শাহ (৪১), অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জুয়েল রানা (৪৩), সাবেক গুলশান থানার ওসি বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম (৫৮), সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আপেল উদ্দিন (৩৯), সহকারি পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ) মো. ইফতেখার মাহমুদ (৩৪), যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল হাসান (৫২), ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মাজহারুল ইসলাম (৪৯), এসআই (নিরস্ত্র) মো. সাজ্জাদ-উজ-জামান (৩৬), নায়েক সজিব সরকার (২৭), কনস্টেবল সুজন হোসেন (২০), শোয়াইবুর রহমান ও মো. বায়োজিদ বোস্তামী (২০)।
 
প্রসিকিউশন বিভাগের এডিসি (প্রশাসন) মাঈন উদ্দিন চৌধুরি বলেন, চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে ৭০৭টি। এ সব মামলায় মন্ত্রী, এমপি ও আমলাসহ গ্রেফতার হন ৫ হাজার ৭৯ জন। সাবেক দুই আইজিপিসহ গ্রেফতার রয়েছেন ২৩ পুলিশ সদস্য। মামলাগুলো বর্তমানে তদন্তাধীন।
সূত্র: বাসস
 


এ জাতীয় আরো খবর...