শিরোনামঃ
পিআরের দাবিতে আন্দোলনকারীরা নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টায় নেমেছে: মির্জা ফখরুল পাল্টা হামলায় ৫৮ পাক সেনা হত্যার দাবি আফগানিস্তানের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব এহসানুল হক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে লাইভ চলাকালে ফেসবুক পেজে সাইবার হামলা: চিফ প্রসিকিউটর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু ইতালির উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা একা গিয়ে কী করবো, সেফ এক্সিট নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব রক্ষায় সংশ্লিষ্ট অপরাধের সুষ্ঠু ও নির্মোহ বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: বিএনপির বিবৃতি আর কোনো সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই : প্রেস সচিব পরোয়ানা জারি হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে: সেনাবাহিনী
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন

বেকারত্ব ঢাকতে মরিয়া চীনের তরুণ প্রজন্ম

বিশ্বকণ্ঠ ডেস্ক
প্রকাশ: রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫

চীনের অনেক তরুণ সকালে সময়মতো ঘুম থেকে ওঠে, সাজসজ্জা করে অফিসে  যাচ্ছে। তবে, তার জন্য তারা কোনও  বেতন পাচ্ছে না বা পাবার আশাও নেই। আসলে চিনে তরুণদের বেকারত্ব এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা কেবল অর্থনৈতিক নয়, সামাজিকভাবেও এক নতুন সংকটের জন্ম দিচ্ছে। সরকারি পরিসংখ্যানে বেকারত্বের হার তুলনামূলক কম দেখালেও, বাস্তবে লাখ লাখ তরুণ চাকরি খুঁজে না পেয়ে ভিন্ন এক পথ বেছে নিচ্ছেন- ‘চাকরির ভান’। পরিবার ও সমাজের চোখে ‘বেকার’ তকমা এড়াতে প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার মতো সাজগোজ করে বাসা থেকে বের হন তারা, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাদের কোনো চাকরি নেই। ২০২৩ সালের এপ্রিলে চীনে  ১৬–২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ২০.৪%, যা জুনে বেড়ে হয় ২১.৩%। একই বছরে প্রায় ১ কোটি ১৬ লাখ স্নাতক চাকরির বাজারে প্রবেশ করলেও চাহিদা ও সরবরাহের ফারাক পরিস্থিতি আরও কঠিন করেছে। কোভিড-১৯ মহামারি ও দীর্ঘ লকডাউন, কঠোর নিয়মকানুন  বিশেষ করে প্রযুক্তি খাতে এবং শিক্ষা ও চাকরির বাজারের অসামঞ্জস্যকে এর জন্য দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা তরুণদের দক্ষতা বাজারের চাহিদার সঙ্গে মেলে না। শেনজেন, সাংহাই, নানজিং, উহান, চেংডু ও কুনমিংয়ের মতো বড় শহরে ছড়িয়ে পড়ছে এই ‘ভান করে অফিসে যাওয়া’ সংস্কৃতি। অনেক তরুণ দিন কাটাচ্ছেন ক্যাফে, রেন্ট করা অফিস স্পেস বা বিশেষভাবে তৈরি ‘নকল অফিসে’। সেখানে রয়েছে ডেস্ক, কম্পিউটার, ইন্টারনেট, মিটিং রুম এমনকি লাঞ্চের ব্যবস্থাও। ডংগুয়ানের ‘প্রিটেন্ড টু ওয়ার্ক কোম্পানি’-এর মালিক ফেইউ বলেন, “আমি কোনও অফিস ডেস্ক বিক্রি করি না, আমি বিক্রি করি মানুষের সম্মান বাঁচিয়ে রাখার সুযোগ।” এসব নকল অফিসে একদিনের খরচ ৩০ থেকে ৫০ ইউয়ান পর্যন্ত হতে পারে। চীন সরকার যুব বেকারত্ব কমাতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায় ভর্তুকি দিচ্ছে এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে তরুণদের নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে।

চালু করেছে ‘গ্রামাঞ্চলে ফেরা আন্দোলন ২.০’, যেখানে কলেজ শিক্ষার্থীদের গ্রামীণ উদ্যোগে পাঠানো হচ্ছে। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই সমস্যা অন্তত আগামী এক দশক স্থায়ী হতে পারে। তবে এই বিষয়টির ব্যক্তিগত প্রভাব পড়ছে সকলের জীবনেই। মানসিক চাপ ও হতাশা বাড়ছে । আর্থিক চাপ বাড়ছে, কারণ নকল অফিসের খরচও নিজের পকেট থেকেই দিতে হচ্ছে মানুষকে। আসলে চীনা সমাজে কর্মহীনতা অনেকের কাছে লজ্জার বিষয়। ৩০ বছর বয়সি শুই ঝোউ, যিনি ২০২৪ সালে ব্যবসায় ক্ষতির পর নকল অফিসে যাওয়া শুরু করেন, বলেন, ‘আমি এখন ভাল বোধ করি। সম্মান রক্ষার জন্য মিথ্যা বলা কখনও কখনও সত্যের চেয়েও বেশি কার্যকর।’

সূত্র: ফার্স্টপোস্ট


এ জাতীয় আরো খবর...