মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চাইলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কিকে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার আশা সম্পূর্ণরূপে ছেড়ে দিতে হবে। এমনকি ক্রাইমিয়া উপদ্বীপও ইউক্রেন আর ফিরে পাবে না; এর কারণ এক দশকেরও আগে রাশিয়া সেটি দখল করে নিয়েছে। খবর, বিবিসির।
সোমবার (১৮ আগস্ট) হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যাল-এ ঠিক এমন কিছু কথা লেখেন।
পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি চাইলে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই শেষ করতে পারেন। ন্যাটোতে ইউক্রেনের কোনো প্রবেশাধিকার নেই। আর ২০১২ সালে (বারাক ওবামার সময়) বিনা প্রতিরোধে দেয়া ক্রিমিয়া ফেরত পাওয়ারও সুযোগ নেই।
মূলত, তার এ ধরণের কথা শুনে মনে হতে পারে, ট্রাম্প কি পুতিনের গলায় কথা বলছেন? আদৌ ইউক্রেন কতটা বা কেমন মিত্র মার্কিন মুলুকের— বিশ্লেষকদের পাশাপাশি নেটিজেনরাও এর চর্চায় মেতেছেন।
অবশ্য ট্রাম্পের এই অবস্থান প্রকাশ পায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার সাম্প্রতিক আলাস্কা বৈঠকের পর। ওই বৈঠকে তিনি যুদ্ধবিরতির দাবি থেকে সরে এসে স্থায়ী শান্তিচুক্তির ওপর জোর দেন।
আরেকটি পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, বলেন, আগামীকাল (মঙ্গলবার) হোয়াইট হাউজে বড় দিন! একসঙ্গে এতোজন ইউরোপীয় নেতা এর আগে কখনো আসেননি। তাদের আতিথ্য দিতে পেরে আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি।
অবশ্য, সংক্ষিপ্ত নোটিশে এতোজন রাষ্ট্রপ্রধানের যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে হাজির হওয়ার নজির আধুনিক সময়ে দেখা যায়নি। অনেকের ধারণা, হোয়াইট হাউজে ইউক্রেন যুদ্ধ শীর্ষক একটি সংকট সভা অনুষ্ঠিত হতে পারে।
প্রসঙ্গত, সোমবারের বৈঠকের আগে ট্রাম্পের প্রশাসন জানিয়েছে, ওই দিনের আলোচনা থেকে কিছু সদর্থক বিষয়ও সামনে এসেছে। জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় সেই ইতিবাচক বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে, এমনকি সেগুলো নিয়ে বড় পরিসরে আলাপ করা হতে পারে।