স্থায়ী ক্যাম্পাসের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস সার্ভিস চালু, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ, লাইব্রেরিতে প্রয়োজনীয় বই সংযুক্ত, মুট কোর্ট রুম, ছাত্র সংসদ গঠন, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় জরিমানা বন্ধসহ পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে এ আন্দোলন করছেন তারা।
আদনান আরাফাত নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীরা বারবার এসব দাবি জানিয়ে আলোচনায় বসেছে, কিন্তু স্থায়ী ক্যাম্পাস নিয়ে এখনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অথচ ইউজিসি স্পষ্ট করেছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে না গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসবে। এ দাবিগুলো শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বার বার আশ্বাস দিলেও কর্তৃপক্ষ সেই দাবিগুলো পূরণ করতে পারেনি। এজন্য আমরা বাধ্য হয়ে শাটডাউন কর্মসূচি দিয়েছি।
ইমন শাহরিয়ার নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছি। প্রয়োজনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে আমাদের দাবি আদায় করব।
এ ব্যাপারে ফেনী ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য নেওয়া আগের জায়গা নিয়ে একটি মামলা চলমান রয়েছে। নতুন যে জায়গাটি কেনা হয়েছে, সেখানে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের একটি প্রক্রিয়া চলছে। শিক্ষার্থীরা বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যানকে আসতে বলেছিল। তিনি শুক্রবারে আসবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা শিক্ষার্থীদের ততদিন শ্রেণি ও অন্যান্য কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গেল বছরের ১৩ আগস্ট শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ১৫ দফা দাবি পেশ করেছিল। কর্তৃপক্ষ দাবি মানার আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ২১ অক্টোবর ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। সর্বশেষ ১৮ ফেব্রুয়ারি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আবারও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা।