এই প্রতিবেদনটি স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ, উত্তর কোরিয়ার শরণার্থী এবং কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার, গোপন নথি এবং ওপেন-সোর্স ডেটা থেকে নেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পূর্ব এশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সম্ভাব্য পারমাণবিক হুমকি তৈরি করতে পারে।
উত্তর কোরিয়া গত কয়েক বছরে নেতা কিম জং উনের অধীনে তার অস্ত্র কর্মসূচি জোরদার করেছে। দ্রুত তার সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকীকরণ করেছে, নতুন অস্ত্র তৈরি করেছে এবং আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় যেকোনো জায়গায় আঘাত হানতে পারে।
এদিকে, এই পদক্ষেপগুলো জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন, যা উত্তর কোরিয়ার উপকরণ এবং অস্ত্রের অ্যাক্সেসকে কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ করে। কিন্তু উত্তর কোরিয়া, ইউক্রেনে মস্কোর আক্রমণের পর থেকে রাশিয়ার সাথে তার সহযোগিতাও বাড়িয়েছে। ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধের জন্য সৈন্য পাঠিয়েছে – যার ফলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে মস্কো বিনিময়ে পিয়ংইয়ংয়ের প্রযুক্তি এবং সরবরাহ লাইনকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই গোপন ঘাঁটিটি উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি জোরদার করার প্রচেষ্টার একটি অংশ।
এই ঘাঁটিটি একটি সরু পাহাড়ি উপত্যকায় অবস্থিত। ২২ বর্গকিলোমিটার (প্রায় ৫,৪৩৬ একর) আয়তনের – যা নিউ ইয়র্কের জন এফ. কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চেয়েও বড়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, সীমান্তের কাছে এর অবস্থান হওয়ায় ভৌগোলিকভাবে সুবিধা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলো এটিকে লক্ষ্যবস্তু করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে পারে কারণ যেকোনো পরিণতি পার্শ্ববর্তী চীনকে প্রভাবিত করতে পারে।
স্যাটেলাইট চিত্র অনুসারে, ঘাঁটির নির্মাণ কাজ ২০০৪ সালে শুরু হয়েছিল এবং এটি ২০১৪ সাল থেকে কার্যকর রয়েছে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তখন থেকে, ঘাঁটিটি সুরক্ষিত এবং সক্রিয়ভাবে বিকশিত হচ্ছে। যা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার চলমান অগ্রগতির প্রতিফলন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
তবে ঘাঁটিতে কোন মডেলের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মজুত আছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সিএসআইএস গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে, এটি উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম হাওয়াসং-১৫ বা হাওয়াসং -১৮ আইসিবিএমএস অথবা অন্য কোনো ধরনের আইসিবিএমএস দিয়ে সজ্জিত, যা এখনও প্রকাশ করা হয়নি।