শিরোনামঃ
পিআরের দাবিতে আন্দোলনকারীরা নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টায় নেমেছে: মির্জা ফখরুল পাল্টা হামলায় ৫৮ পাক সেনা হত্যার দাবি আফগানিস্তানের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব এহসানুল হক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে লাইভ চলাকালে ফেসবুক পেজে সাইবার হামলা: চিফ প্রসিকিউটর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু ইতালির উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা একা গিয়ে কী করবো, সেফ এক্সিট নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব রক্ষায় সংশ্লিষ্ট অপরাধের সুষ্ঠু ও নির্মোহ বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: বিএনপির বিবৃতি আর কোনো সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই : প্রেস সচিব পরোয়ানা জারি হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে: সেনাবাহিনী
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৭ অপরাহ্ন

গাজা শহর ও আশপাশের এলাকায় দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করলো জাতিসংঘ

বিশ্বকণ্ঠ ডেস্ক
প্রকাশ: শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫

অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (২২ আগস্ট) জাতিসংঘের বৈশ্বিক ক্ষুধা ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা আইপিসি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে, গাজা সিটি এবং এর আশপাশের এলাকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজার মানুষ এখন খাদ্যের তীব্র অভাবে ভুগছেন। খাদ্য সংকটের সর্বোচ্চ ধাপ অর্থাৎ ‘পঞ্চম ধাপে’ গাজা সিটিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মানে হলো, স্থানীয় মানুষজন বর্তমানে চরম অনাহার ও দারিদ্র্যের মধ্যে রয়েছেন, এমনকি খাওয়ার মতো কিছুই পাচ্ছেন না।

গাজার পাশাপাশি দেইর এল-বালাহ এবং খান ইউনুস শহরেও খাদ্য পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে। আইপিসি সতর্ক করেছে, সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ দুর্ভিক্ষ শুরু হতে পারে এ দুটি শহরেও। সে ক্ষেত্রে গাজাজুড়ে প্রায় ৬ লাখ ৪১ হাজার মানুষ সরাসরি দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বেন।

বর্তমানে গাজার মোট জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ (প্রায় ১০ লাখ ৭ হাজার মানুষ) খাদ্যাভাবে জরুরি অবস্থার মধ্যে রয়েছেন, যা ‘ধাপ-৪’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ। তারা না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। এছাড়া প্রায় ৩ লাখ ৯৬ হাজার মানুষ (২০ শতাংশ) ‘ধাপ-৩’-এ আছেন, যারা মারাত্মক খাদ্য সংকটের ঝুঁকিতে রয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৯ লাখ মানুষ বা জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর ফলে বেশিরভাগ পরিবার অনিরাপদ, জনাকীর্ণ পরিস্থিতিতে বাস করছে। এছাড়া খোলা আকাশের নিচে ঘুমাচ্ছে বাকি গাজাবাসী।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজার ‘খাদ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে’। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপত্যকার ৯৮ শতাংশেরও বেশি ফসলি জমি, ধ্বংস হয়েছে গবাদি পশুর সংগ্রহ, নিষিদ্ধ হয়েছে মাছ ধরা, অভাব দেখা দিয়েছে নগদ অর্থের এবং অসাধ্য হয়ে পড়েছে বাজার মূল্য।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় হামলা চালানো শুরু করে এবং পরবর্তীতে খাদ্য সরবরাহে অবরোধ আরোপ করে। এর ফলে মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গাজার মানুষ। যেখানে গাজার সাধারণ মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন, সেখানে দখলদার ইসরায়েল গাজা সিটিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

এই প্রতিবেদেন প্রকাশের মাধ্যমে গাজায় দুর্ভিক্ষ শুরু হওয়ার বিষয়টি প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলো কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা।


এ জাতীয় আরো খবর...