বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে শ্রেণি কার্যক্রমে ফিরে আসে।
শিক্ষার্থীরা জানান, স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হওয়ায় শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি। তবে আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন দ্রুত স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করুক। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে যেসব দাবি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
কাজী আল-আমিন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছে। তাই আমরা শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি। আশা করছি অতি দ্রুত ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হবে। তবে যদি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করে, আমরা শিক্ষার্থীরা আবারও মাঠে নামতে বাধ্য হবে।
ফেনী ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আবুল কাশেম বলেন, ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা পুনরায় ক্লাসে ফিরেছে। শ্রেণি ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চালু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর ১৩ আগস্ট শিক্ষার্থীরা ইউনিভার্সিটির উন্নয়নে ১৫ দফা দাবি পেশ করেছিল। কর্তৃপক্ষ দাবি মানার আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ২১ অক্টোবর ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। এতে পুরো ক্যাম্পাসে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরবর্তী সময়ে আবারও আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা ফের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পুনরায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। সর্বশেষ, গত ১৮ আগস্ট শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে শাটডাউন কর্মসূচির ডাক দেয়। আন্দোলনের মুখে বুধবার (২০ আগস্ট) রাতে ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম জামালউদ্দীন আহমদ পদত্যাগ করেন। পরদিন বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের উত্তর দিকের অংশে একই দাবিতে অবস্থান নেন তারা।