রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলার’ দরবারে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের সময় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত সাড়ে তিন হাজার জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ১২টার পর গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই সেলিম বাদি হয়ে মামলাটি করেন।
শনিবার সকালে ওই থানার ওসি মো. রাকিবুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
গতকাল বিকালে গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লাপাড়ায় এলাকায় নুরাল পাগলের দরবার শরীফে এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিজেকে ‘ইমাম মাহাদি’ দাবি করা নুরুল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলার’ মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয় ‘ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি’র লোকজন। এ ছাড়া নুরাল পাগলার দরবার শরীফ ও বাড়িতেও হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এ সময় ইউএনও’র গাড়ি, পুলিশের দু’টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে দরবারের এক অনুসারী নিহত ও ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। জুমার নামাজের পর এসব হামলার ঘটনা ঘটে।
সম্প্রতি মারা যাওয়া নুরুল হকের কবর মাটি থেকে কিছুটা উপরে দাফন করে সেখানে কা’বা শরীফের আদল দেয়া হয়। এ নিয়ে ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি’র নামে একটি সংগঠনের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। স্থানীয় প্রশাসন দু’পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছিলেন। তার মধ্যেই জুমার নামাজের পর পূর্ব-ঘোষণা অনুযায়ী, বিভিন্ন স্থান থেকে তৌহিদী জনতা এসে শহীদ মহিউদ্দিন আনসার ক্লাবে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। তারা নুরুল হকের বাড়ি ও দরবারের ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। দরবার শরীফ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।