শিরোনামঃ
পিআরের দাবিতে আন্দোলনকারীরা নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টায় নেমেছে: মির্জা ফখরুল পাল্টা হামলায় ৫৮ পাক সেনা হত্যার দাবি আফগানিস্তানের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব এহসানুল হক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে লাইভ চলাকালে ফেসবুক পেজে সাইবার হামলা: চিফ প্রসিকিউটর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু ইতালির উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা একা গিয়ে কী করবো, সেফ এক্সিট নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব রক্ষায় সংশ্লিষ্ট অপরাধের সুষ্ঠু ও নির্মোহ বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: বিএনপির বিবৃতি আর কোনো সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই : প্রেস সচিব পরোয়ানা জারি হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে: সেনাবাহিনী
রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩২ অপরাহ্ন

রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল, আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধ’ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। ১৬ মঙ্গলবার মিছিলের প্রস্তুতিকালে শ্যামলীর শিশু মেলার মোড় ও মতিঝিল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আনোয়ারুল হক সেলু আহমেদ, সাবেক ছাত্রলীগের সদস্য মো. মিরাজ, ঢাকা শ্যামপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম শাকিল, সাবেক ছাত্রলীগের সদস্য আরিফুর রহমান, কাজী নজরুল ইসলাম কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি মো. তারিকুল ইসলাম, ইলিয়াছ মির্জা জাবেদ, নাঈম, ছাব্বির  হোসেন রাব্বি, রায়হান উদ্দিন রিহান ও আবু বক্কর সিদ্দিক।

ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, মতিঝিল থানা সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে মতিঝিল থানাধীন শাপলা চত্বর এলাকায় ঘরোয়া খাবার হোটেলের সামনের পাকা রাস্তায় আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের অজ্ঞাতনামা ১২০-১৫০ জন সদস্য জড়ো হয়। তারা সরকারবিরোধী মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পুলিশ  ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালানোর চেষ্টা করলে মতিঝিল থানা পুলিশ আওয়ামী লীগের সেøাগান সম্বলিত ব্যানারসহ দুজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। অন্যরা বিভিন্ন অলিগলি দিয়ে পালিয়ে যায়। ব্যানারে লেখা ছিল, “শেখ হাসিনা আসবে বাংলাদেশ হাসবে, হঠাও ইউনূস বাঁচাও দেশ, শেখ হাসিনার নির্দেশ” এবং “ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠন”। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে আওয়ামী লীগের সেøাগান সম্বলিত ব্যানারসহ আনোয়ারুল হক সেলু ও মো. মিরাজকে ১২টা ৪০ মিনিটে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় । গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে পলাতক আসামিদের নাম-ঠিকানা এবং অর্থদাতা ও ইন্ধনদাতাদের তথ্য পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলা করা হয়। পরবর্তীতে মঙ্গলবার থানা এলাকা এবং আশেপাশের এলাকায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শাপলা চত্বর এলাকা থেকে সাইদুল ইসলাম শাকিল, আরিফুর রহমান  ও তারিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অপরদিকে শেরেবাংলা নগর থানা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা ১০ মিনিটে  শেরেবাংলা নগর থানাধীন শিশু মেলা মোড়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের ৭-৮ জন একত্রিত হলে দায়িত্বরত শেরেবাংলা নগর পুলিশ তাদেরকে তল্লাশি করার জন্য ঘেরাও করে। তখন তারা একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় হাতেনাতে ইলিয়াছ মির্জা জাবেদ, নাঈম ও ছাব্বির হোসেন রাব্বিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের গ্রেপ্তারের সময় ২০ থেকে ৩০টা মোটরসাইকেল এসে গ্রেপ্তারকৃতদের কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং মোটরসাইকেলে আসা অজ্ঞাতদের থেকে আরও দুই তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে রায়হান উদ্দিন রিহান ও আবু বক্কর সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত দশজনসহ ঝটিকা মিছিলের আয়োজকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


এ জাতীয় আরো খবর...