শিরোনামঃ
পিআরের দাবিতে আন্দোলনকারীরা নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টায় নেমেছে: মির্জা ফখরুল পাল্টা হামলায় ৫৮ পাক সেনা হত্যার দাবি আফগানিস্তানের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব এহসানুল হক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে লাইভ চলাকালে ফেসবুক পেজে সাইবার হামলা: চিফ প্রসিকিউটর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু ইতালির উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা একা গিয়ে কী করবো, সেফ এক্সিট নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব রক্ষায় সংশ্লিষ্ট অপরাধের সুষ্ঠু ও নির্মোহ বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: বিএনপির বিবৃতি আর কোনো সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই : প্রেস সচিব পরোয়ানা জারি হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে: সেনাবাহিনী
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন

ফেনী-২ আসন: বিএনপিতে ভিপি জয়নাল নাকি বিপ্লব, সুযোগ নিতে চায় এবি পার্টি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার তিনটি আসনের মধ্যে মর্যদাপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় ফেনী-২ আসন। কারন এ আসনের এমপিই জেলার নিয়ন্ত্রক হন। সদর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১২ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত আসনটি।

স্বাধীনতার পর থেকে ২০০১ ও ২০০৮ সালে বিএনপি দুইবার মাত্র এ আসনে জয়ী হতে পেরেছে। তার বিপরীতে আওয়ামী লীগ জিতেছে সব নির্বাচনে। একবার জিতেছিল জাসদ। অধ্যাপক জয়নাল আবদীন (ভিপি জয়নাল) বিএনপিতে যোগদান করার পর দলটির অস্তিত্ব বিলিণ হয়ে পড়ে। আর বিএনপি ভিপি জয়নালের হাত ধরেই আসনটিতে ভাগ বসায়।

এরপর ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে বিনা ভোটে এমপি হন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। এর আগে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে তিনবার সংসদ সদস্য ছিলেন আলোচিত জয়নাল আবদিন হাজারী। ২০০১ সালে সেনা অভিযানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর তার জায়গা দখলে নেন নিজাম হাজারী। যদিও পরে দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হয়েছিলেন জয়নাল হাজারী। তার মৃত্যুর পর একক আধিপত্য ফিরে পান নিজাম হাজারী।

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে হারানো আসন উদ্ধার করতে চায় বিএনপি। ভোটের হিসেবে অন্য দলের তুলনায় জোজন জোজন এগিয়ে দলটি। বিএনপি চেয়ারপার্সনের জন্ম স্থান হওয়ায় ভোটের ক্ষেত্রে দলটি এগিয়ে থাকে সবসময়।

এবার আসনটি নিজেদের ঘরে রাখাটা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে বিএনপির জন্য। সাবেক এমপি ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবদীন ব্যাতিত বিকল্প শক্ত প্রার্থীর খোজ এখনও নেই। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মজলিসে সূরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়াকে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

এছাড়া আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি)সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু এ আসন থেকে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। এ কারনে বিএনপির সাথে জোটবদ্ধ হলে মঞ্জুকে ছেড়ে দেয়া হতে পারে এমন গুঞ্জন আছে। যদিও এ আসনে এবি পার্টির সাংগঠনিক কোন ভিত নেই। নেই কোন দলীয় কর্মকাণ্ড, তার পরও মাঝেমধ্যে নিজ জেলা সফরে এসে বিভিন্ন পেশাজীবির সাথে মতবিনিময় করেন মঞ্জু।

এ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেতে পারেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল)। এ ছাড়া দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল, যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী হাবীব উল্যাহ মানিকের নাম শোনা যাচ্ছে। সব হিসেব-নিকেশ শেষে ভিপি জয়নালের পাল্লাই ভারী বলে মনে করেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। আর বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মশিউর রহমান বিপ্লব। তিনি বিএনপি ছঅড়া্ও অঙ্গসংগঠনের ব্যানারে ভোটারদের ধারে ধারে হাজির হচ্ছেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময় হামলা-মামলা থেকে মুক্তি পেতে সহযোগিতা ছাড়াও বিভিন্ন সময় নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর রেখেছেন নিয়মিত। ৫ আগস্ট পরিবর্তীত পরিস্থিতি থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে জনসাধারণের সুরক্ষায় তাদের পাশে অবস্থা নেন। এছাড়া নিয়মিত ফেনীতে যাতায়াত ও যোগাযোগ রেখেছেন। সে হিসেবে ভিপি জয়নালের বিকল্প হয়ে উঠেছেন বিপ্লব।

অন্যদিকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা একরামুল হক ভূঁইয়া এই আসন থেকে প্রার্থিতার ঘোষণা দিয়েছেন।

অন্যদিকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (মামুনুল হক) কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশিদ ভূইয়া ও খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সলকে দলীয় একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

সব মিলিয়ে জয়নাল হাজারী ও নিজাম উদ্দিন হাজারীর দু:শাসনের অবসানের পর একটি অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করে ফেনী-২ আসনের ভোটাররা।


এ জাতীয় আরো খবর...