শিরোনামঃ
পিআরের দাবিতে আন্দোলনকারীরা নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টায় নেমেছে: মির্জা ফখরুল পাল্টা হামলায় ৫৮ পাক সেনা হত্যার দাবি আফগানিস্তানের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব এহসানুল হক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে লাইভ চলাকালে ফেসবুক পেজে সাইবার হামলা: চিফ প্রসিকিউটর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু ইতালির উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা একা গিয়ে কী করবো, সেফ এক্সিট নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব রক্ষায় সংশ্লিষ্ট অপরাধের সুষ্ঠু ও নির্মোহ বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: বিএনপির বিবৃতি আর কোনো সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই : প্রেস সচিব পরোয়ানা জারি হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে: সেনাবাহিনী
রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৪ অপরাহ্ন

ব্যতিক্রম সংবর্ধনা পেলেন শিক্ষক

ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

তিন দশকের চাকরি জীবনের শেষে ব্যতিক্রমি সংবর্ধনা পেয়েছেন ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার খাজুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিখা রানী। অবসরে যাওয়া এ শিক্ষককে অশ্রুসিক্ত বিদায় জানান শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও গ্রামবাসী।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিদ্যালয়ের মাঠে সংবর্ধনা শেষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাকে ফুলসজ্জিত প্রাইভেটকারে করে পরশুরাম উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের তালবাড়িয়া গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেন।

শিখা রানী করের ৩০ বছরের শিক্ষকতা জীবনের বৃহস্পতিবার ছিল শেষ কর্মদিবস। এদিন বিদ্যালয় মাঠে তার সম্মানে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। যেখানে গ্রামের প্রতিটি পরিবার তাকে উপহার প্রদান করে। একপর্যায়ে অভিভাবক, ছাত্র-ছাত্রী ও গ্রামের মানুষজন তার বিদায়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ‎আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহরিয়া ইসলাম।

‎রহিমা বেগম নামে গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, তিনি দীর্ঘ চাকুরি জীবনে শিক্ষকতার পাশাপাশি আমাদের খুব কাছের একজন হয়ে উঠেছিল। যখনই আমাদের কোনো সমস্যা হতো, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন। গ্রামের সব শিশুদের প্রতি তার বাড়তি আন্তরিকতা ও যত্নের জন্য তাকে সবসময় স্মরণ রাখব।

‎সংবর্ধনা আয়োজক কমিটির সদস্য ইদ্রিস মজুমদার বলেন, ম্যাডাম এ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর গ্রামের মানুষের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন করতেন। মানুষকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেন। এ গ্রামের উন্নয়নে তার অবদান রয়েছে। সেজন্য গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে বিদায় বেলায় কিছু আয়োজন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিদায়ী শিক্ষক ‎শিখা রানী কর বলেন, ১৯৯৫ সালের ১ জুন দক্ষিণ গুথুমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের পর খাজুরিয়া গ্রামের শিক্ষানুরাগী মাস্টার নাসির উদ্দিন আমাকে বদলি করিয়ে এখানে নিয়ে আসেন। গ্রামের মানুষকে আমি নিজের পরিবারের সদস্য মনে করতাম। শিক্ষার্থীদেরকে সবসময় ভালোবাসা ও শাসনের মধ্যে আগলে রেখেছি। এ গ্রামের মানুষ আমার বিদায়বেলায় যে সম্মান দিয়েছে তা কখনো ভুলব না।

‎বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য রহিম উদ্দিন মজুমদারের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফিরোজ আহম্মেদ, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মুসলেহ উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা ও পরশুরাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি জহির উদ্দিন টিপু।


এ জাতীয় আরো খবর...