ভারত সফরে এসে বিপাকে পড়লেন দুই জনপ্রিয় জার্মান কনটেন্ট ক্রিয়েটর নোয়েল রবিনসন ও ইউনেস জারু। বেঙ্গালুরুর রাস্তায় স্ট্রিট পারফরম্যান্স করার সময় বিশাল জনসমাগম সৃষ্টি হওয়ায় পুলিশ তাদের আটক করে। হিন্দুস্তান টাইমস থেকে জানা যায়, ১১ মিলিয়নের বেশি ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ারধারী নোয়েল রবিনসন ও ২০ মিলিয়নের বেশি ফলোয়ারধারী ইউনেস জারু এই দুই ইন্টারনেট তারকাকে বুধবার (৩০ জুলাই) সাময়িকভাবে আটক করে বেঙ্গালুরু পুলিশ।
নোয়েল রবিনসন মূলত তার চমকপ্রদ রাস্তার নাচের ভিডিওর জন্য পরিচিত। হঠাৎই কোনো জনবহুল স্থানে নিজের অ্যাফ্রো হেয়ার স্টাইল প্রকাশ করে নাচ শুরু করেন তিনি। বিভিন্ন দেশে যায় সে। সম্প্রতি বাংলাদেশেও এসেছিলেন নোয়েল। কয়েকজন শোবিজ তারকা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে টিকটক ভিডিও তৈরি করেছিলেন তিনি। এদিন বেঙ্গালুরুর রাস্তায় এমন এক পারফরম্যান্সের সময় জনতার ভিড় বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ হস্তক্ষেপ করে।
নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিওতে রবিনসন জানান, এটাই প্রথমবার যখন আমাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি ভয় পেয়েছিলাম যে হয়তো জেলে পাঠাবে, কিন্তু ভাগ্য ভালো সব ঠিকঠাক হয়েছে। আমি নিরাপদ এবং আমি ভারতকে ভালোবাসি। তিনি আরও বলেন, বেঙ্গালুরু পুলিশ তাকে মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য আটক রাখে এবং পরে ২ ডলারের সমপরিমাণ জরিমানা করে ছেড়ে দেয়। অন্যদিকে, ইউনেস জারু নামের আরেক জার্মান ইনফ্লুয়েন্সারও একইদিনে বিপাকে পড়েন। ইনস্টাগ্রামে তিনি ঘোষণা দেন, “চার্চ স্ট্রিট, আমরা আসছি।” সেই ঘোষণার পরপরই চার্চ স্ট্রিটে তার আগমনের খবরে বিশাল ভিড় জমে যায়।
চোখ ধাঁধানো ইল্যুশন ভিডিও ও পাবলিক স্টান্টের জন্য পরিচিত জারু যিনি ২০ মিলিয়নের বেশি মানুষকে ইন্সটাগ্রামে মাতিয়ে রেখেছেন তার আগমনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ফলে পুলিশ তাকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে থানায় নিয়ে যায়।
কাব্বন পার্ক থানার পুলিশ জানায়, এত বড় ভিড় তৈরি হওয়া কোনো ইভেন্ট করার আগে অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। অনুমতি না থাকায় ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগেও এই চার্চ স্ট্রিটেই একই পরিস্থিতিতে বিখ্যাত ব্রিটিশ গায়ক এড শিরানকে স্ট্রিট পারফরম্যান্স থামিয়ে দিতে হয়েছিল, কারণ তিনিও পূর্বানুমতি ছাড়াই পারফর্ম করতে এসেছিলেন। এই ঘটনাগুলো বেঙ্গালুরুর রাস্তায় অনিয়ন্ত্রিত জনসমাগমের ঝুঁকি ও পুলিশের দায়িত্ব পালনের বাস্তবচিত্র তুলে ধরেছে। তবে দুই কনটেন্ট ক্রিয়েটরই নিরাপদে ছাড়া পেয়েছেন এবং ভারতের প্রতি তাদের ভালোবাসাও জানিয়েছেন।