সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে অর্থবিল ও আস্থা ভোটের পাশাপাশি সংবিধান সংশোধন ও যুদ্ধকালীন জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্তি, নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ, সুপ্রিম কোর্টের পৃথকীকরণ, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকা, পিএসসি, দুদক, সিএ এন্ড জি ও ন্যায়পাল নিয়োগবিধি আইনের মাধ্যমে সংস্কার, উচ্চকক্ষ গঠন, রাষ্ট্রপতির নির্বাচন ও ক্ষমতার পরিধি পুনঃবিন্যাস, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে সমন্বিত প্রস্তাবের নির্দিষ্ট ধারাসমূহ, নাগরিক অধিকার নিশ্চিতকরণ ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়।
অধ্যাপক রীয়াজ জানান, নারীদের জন্য আসন সংখ্যা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রস্তাবেই সবচেয়ে বেশি ভিন্নমত (নোট অভ্ ডিসেন্ট) এসেছে।তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি’ বিষয়ে আজ গণফোরাম, বাসদ (মার্কসবাদী), বাসদ, ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সভা বর্জন করে এবং ভিন্নমত প্রদান করে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলও একই বিষয়ে ভিন্নমত দেয়।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট পথ নির্ধারণের আহ্বান জানিয়েছে। অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, ‘কমিশন মনে করে, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য স্পষ্ট রোডম্যাপ প্রণয়ন প্রয়োজন। এ নিয়ে দলগুলোর মধ্যেও আলাপ হওয়া দরকার।’
আজকের আলোচনায় অংশ নেয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি-সহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।
প্রসঙ্গত, গত ২ জুন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্বোধনের মাধ্যমে। ৩ জুন থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ২৩টি বৈঠকে ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোট অংশ নেয়।