শিরোনামঃ
পিআরের দাবিতে আন্দোলনকারীরা নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টায় নেমেছে: মির্জা ফখরুল পাল্টা হামলায় ৫৮ পাক সেনা হত্যার দাবি আফগানিস্তানের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব এহসানুল হক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে লাইভ চলাকালে ফেসবুক পেজে সাইবার হামলা: চিফ প্রসিকিউটর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু ইতালির উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা একা গিয়ে কী করবো, সেফ এক্সিট নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব রক্ষায় সংশ্লিষ্ট অপরাধের সুষ্ঠু ও নির্মোহ বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: বিএনপির বিবৃতি আর কোনো সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই : প্রেস সচিব পরোয়ানা জারি হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে: সেনাবাহিনী
রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪০ অপরাহ্ন

কেন্দ্রের বাইরে; প্রান্তের সাংবাদিক ও সাংবাদিকতা”

নজরুল ইসলাম তমাল
প্রকাশ: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫

জেলা পর্যায়ে সাংবাদিকতায় যুক্ত হতে চাইলে কি কি যোগ্যতা থাকা উচিত। কোন বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেয়া হয়, এসব আলোচনার শেষ নেই। জেলার সাংবাদিক যারা হতে চান, তাদের ভেতরে একটা মোহ কাজ করে। যেমন: এই পেশায় জড়ালে সমাজের নীতি নির্ধারক বা প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে সহজে মেশা যায়, অন্য পেশার মানুষ সমীহ করে। মূলত একটা আগ্রহ থেকে শখের বশে এই কাজে ভাল লাগা তৈরি হয়। তারপর নেশায় পড়ে গেলে আর ছাড়া যায় না, তখন এই কাজকেই পেশা হিসাবে বেছে নেন। তবে বাস্তবিকভাবে যা বিবেচনা করা হয় এবং যা হওয়া উচিত এসব বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা থাকবে এই লেখায়।

জেলার সাংবাদিকদের জন্য কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকা অত্যন্ত জরুরি, যাতে তারা সঠিক, দায়িত্বশীল ও পেশাদার সাংবাদিক হিসাবে নিজেকে তুলে ধরতে পারেন। জেলার সাংবাদিকের যেসব বিষয় বা যোগ্যতা থাকা উচিত:

১. শিক্ষাগত যোগ্যতা: আমাদের দেশের গণমাধ্যমে জেলা পর্যায়ে কাজ করতে চাইলে সাধারণত এইচএসসি বা স্নাতক পাশ করলেই সুযোগ দেয়া হয়। সাংবাদিকতার ডিগ্রি অপশনাল, থাকলে ভালো। কিন্তু আদর্শ যোগ্যতা হলো- সাংবাদিকতা/গণযোগাযোগে কমপক্ষে ডিপ্লোমা বা স্নাতক। জেলা পর্যায়ে যারা সাংবাদিকতা করেন তাদের দুই-একজনের গ্র্যাজুয়েশন থাকলেও তা সাংবাদিকতা সংশ্লিষ্ট নয়। এমনকি আন্ডার ম্যাট্রিক লোকজনও এখন এই পেশায় জড়াচ্ছেন। আবার নাম সর্বস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে টেনেটুনে পাশ করা ব্যক্তিরাই সাংবাদিক, এটাই জেলা পর্যায়ের বাস্তবতা। যেকারণে সাংবাদিকতার তত্ত্বীয় জ্ঞানের অভাবে ভুল তথ্য বেশি ছড়াচ্ছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সারা দেশে কর্মরত ৮০ ভাগের বেশি সাংবাদিকের সাংবাদিকতা বিষয়ে কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, যা আছে শুধু দেখে শেখার অভিজ্ঞতা।

২. সাংবাদিকতার মৌলিক জ্ঞান: ৫টি W ও ১টি H (Who, What, When, Where, Why & How) অনুসারে প্রতিবেদন তৈরি করতে জানা। হাজারো তথ্য উপাত্ত্যের মধ্যে সংবাদের মুল বিষয়বস্তু সংকলন, প্রতিবেদনে উপস্থাপন ও প্রাথমিক সম্পাদনার বেসিক দক্ষতা এবং অনুসন্ধানী তথ্য সংগ্রহের ইচ্ছা থাকতে হয়। জানতে হয় সাংবাদিকতার নীতিমালা। কারণ কোন কাজটি সাংবাদিক হিসাবে করতে পারেন, কোনটি পারেন না তার জন্য। জানতে হবে, মানহানিকর বক্তব্য কী, সংবাদ পরিবেশনের সময় ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কিভাবে রক্ষা করা যায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, তথ্য অধিকার আইন কি? যেমন: কোনো শিশু/কিশোর অপরাধীকে নিয়ে প্রতিবেদন করার সময় তার নাম, ছবি বা পরিচয় প্রকাশ শিশু আইনের পরিপন্থী কিনা। এছাড়া একজন সাংবাদিককে তার আচরণ, কথাবার্তা, পোশাক, চলাফেরাতেও ভদ্র মার্জিত হতে হয়। আবার ন্যায়-অন্যায় বোঝার ক্ষমতা, মানবিকতা, নৈতিকশিক্ষা, নিষ্ঠা ও ভারসাম্য রক্ষার জ্ঞান থাকাও জরুরি।

৩. স্থানীয় সব বিষয়ে গভীর জ্ঞান: জেলার ইতিহাস, সংস্কৃতি, জনগোষ্ঠী, ভূগোল, রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজচিত্র সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা, স্থানীয় ভাষা ও কথ্য রীতির উপর দখল, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনীতি ও ক্ষমতার গঠন ভালভাবে বুঝতে হয়। যেমন: কোন এলাকায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে প্রতিবেদন করতে গেলে, সেখানকার সব ইতিহাস, পরিবেশগত প্রভাব এবং স্থানীয় মানুষের জীবিকা সম্পর্কে ধারণা ছাড়া গভীর প্রতিবেদন তৈরি সম্ভব নয়। এছাড়া জেলার সংকট, সমস্যা, উন্নয়নসহ নানা বিষয় যেমন: নদীভাঙন, কৃষি সংকট, দুর্নীতি, অপরাধ, নদীর পানিবণ্টন এসব বিষয়ে কাজ করতে চাইলে আগে তা নিজেকে পরিস্কারভাবে জানতে হবে। কোন প্রতিবেদনে কি ধরনের তথ্য থাকতে হয়, কার সঙ্গে কথা বলতে হবে, কোনটি বিশেষ প্রতিবেদন হতে পারে এসব বিষয়েও গভীর জ্ঞান থাকতে হয়।

৪. ভাষা ও সংস্কৃতির জ্ঞান: একজন সাংবাদিকের জেলার স্থানীয় ভাষা+প্রমিত বাংলা উচ্চারণ+মৌলিক ইংরেজিতে দক্ষতা থাকতে হয়। আঞ্চলিক ভাষার অর্থ তাকে জানতে ও বুঝতে হবে। এতে স্থানীয় মানুষ, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ সহজ হয়। জেলার ইতিহাস, রাজনীতি ও সামাজিকসহ সব বিষয়ে স্পষ্ট ধারনা থাকতে হবে। এছাড়া আলোচনা, লাইভ সম্প্রচার, তথ্য প্রদান ও স্টোরির ভয়েস ওভারে আঞ্চলিকতা পরিহার করে শুদ্ধ উচ্চারণের চেষ্টা থাকতে হয়। তাছাড়াও আইন আদালত, বিচার, অপরাধ, স্বাস্থ্যসহ এমন নানা বিষয়ের কিছু টার্ম আছে যা বাংলাতে সাধারণ মানুষকে বোঝানো কঠিন, সেসব ক্ষেত্রে ইংরেজির সাবলীল ব্যবহার জানতে হয়। আমার জানা একটি ঘটনা বলি- একজন ডিসি/এসপি জেলার সাংবাদিকদের কাছে গুরুতর একটি বিষয়ে ব্রিফ করলেন, সেখানে উপস্থিত প্রায় সব সাংবাদিকই তার দেয়া ইংরেজি কিছু শব্দ/টার্ম না বুঝে বিকৃতভাবে অনুবাদ করে কেন্দ্রে পাঠালেন, প্রচারও হলো। পরে ওই ডিসি/এসপি সাংবাদিকদের ওপর চরম বিরক্ত হয়ে আর কারো সাথে কোন কথা বলতেন না, কোন তথ্য দিতেন না। জরুরি হওয়ায় আমি তাকে একবার ফোন করি- তখন তিনি ঘটনাটি আমাকে শেয়ার করে সেসব সাংবাদিকের যোগ্যতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন।

৫. ডিজিটালের মৌলিক দক্ষতা: এক সময় সংবাদের বড় মাধ্যম ছিল পত্রিকা, যা শুধু শিক্ষিত ব্যক্তিদের জন্য। কিন্তু বিজ্ঞান ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন চলছে ভিজুয়্যাল গণমাধ্যমের দাপট। এতে সাংবাদিকতার ধরনেও বেশ পরিবর্তন এসেছে, যা ক্রমান্বয়ে যুক্ত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া পর্যন্ত। বর্তমান সময়ে সাংবাদিকদের ভিডিও, ছবি, অডিও রেকর্ডিং, অনলাইন প্রকাশনা জানা খুব দরকার। যে কারণে মোবাইল জার্নালিজম, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, ভিডিওগ্রাফি ও এডিটিং এর ন্যূনতম গ্রামার বা বেসিক জ্ঞান থাকা জরুরি হয়ে পড়েছে। এজন্য জেলার সাংবাদিককেও যুগের সাথে তাল মেলাতে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে পারদর্শী হতে হয়। এছাড়া মোবাইল/ডিজিটাল ডিভাইসে সংবাদ তৈরি ও পাঠানোর দক্ষতা, ফেসবুক, ইউটিউব, অনলাইন নিউজপোর্টাল পরিচালনায় অভিজ্ঞতা, ভিডিও এডিটিং, লাইভ কাভারেজ, ফ্যাক্ট-চেকিং টুলসের ব্যবহার শেখাও জরুরি।

৬. নীতি-নৈতিকতা ও সাহস: জেলার সাংবাদিকরা ক্ষমতাশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিউজ করলে হুমকি, হামলা, মামলার মুখোমুখি হন। এজন্য সমাজের উচ্চশ্রণীর প্রভাব, কর্পোরেট, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপ উপেক্ষা করে সত্য ঘটনা তুলে ধরার সাহস থাকতে হয়। সত্য প্রকাশ করাই সাংবাদিকতার মূল উদ্দেশ্য, তবে তা যেন গণমানুষের জন্য ক্ষতির কারণ না হয়। জেলা সাংবাদিকদের অনেক সময় প্রভাবশালীদের কাছ থেকে প্রলোভন আসে, হুমকি আসে সত্য তথ্য প্রকাশ না করতে। একজন নীতিবান সাংবাদিকের কাজ সেই চাপে নতো না হয়ে তথ্যপ্রমাণসহ প্রতিবেদন তৈরি করা। এক্ষেত্রে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের প্রতি দায়বদ্ধতা, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক প্রভাবমুক্ত অবস্থান, ঘুষ, উপহার বা বিশেষ সুবিধা গ্রহণ না করার মানসিকতা, নিরপেক্ষতা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকাটাও জরুরি।

৭. তথ্য সংগ্রহে কৌশলী ও অনুসন্ধানী মানসিকতা: জেলার সাংবাদিককে একেবারে মাটি ঘেঁষা জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। অনেক সময় অফিসিয়াল সোর্সের কাছে তথ্য থাকে না, তখন স্থানীয় দোকানি, ঘাটের মাঝি বা গ্রাম্য চৌকিদারই হয়ে ওঠেন তথ্যদাতা। সেক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে কৌশলে কথা বলা, সুশীলভাবে প্রশ্ন করা, সন্দেহভাজন তথ্য যাচাইয়ের জন্য একাধিক উৎস খুঁজে তা নিশ্চিত হতে হয়। গুজব ও অর্ধসত্য খবর থেকে নিজেকে বিরত রাখার পাশাপাশি দক্ষতা থাকতে হয় সোর্স যাচাই, তথ্য বিশ্লেষণ ও ডেটা সংগ্রহের ক্ষেত্রে।

৮. যোগাযোগ, সোর্স মেইনটেইন ও সম্পর্ক গড়ার দক্ষতা: জেলার সাংবাদিকের বড় শক্তি তার সোর্স নেটওয়ার্ক ও যোগাযোগ। পুলিশ, হাসপাতাল, শিক্ষা অফিস, স্থানীয় রাজনীতিবিদ, সাধারণ মানুষ, সবার সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা, তাদের বিশ্বাস অর্জন করা এবং নতুন সম্পর্ক তৈরি ও রক্ষা করার মানসিকতা থাকতে হয়। যেমন: কোনো সড়ক দুর্ঘটনার খবরে থানায় ফোন দিলে পুলিশ যদি সাংবাদিককে ভালোভাবে চেনেন, তাহলে তিনি সহজে তথ্য দিয়ে তাকে সাহায্য করতে পারেন। এছাড়া স্থানীয় ও জাতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং তথ্য উৎস, সোর্স এবং প্রভাবশালীদের সঙ্গে পেশাগত সম্পর্ক মেইনটেইন করাও তার যোগ্যতার অংশ।

৯. রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার মানসিকতা: জেলার সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। জেলা পর্যায়ে রাজনৈতিক দল বা প্রভাবশালী গোষ্ঠী সব সময় সাংবাদিকদের বিশেষ সিবিধা দিয়ে, কখনো চাপে রেখে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চায়। এক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সংবাদ তৈরি করার কৌশল, সাহস থাকতে হয়। স্থানীয় রাজনীতি ও প্রশাসনিক কাঠামোর সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা, নিজেকে নিরপেক্ষ রাখার কৌশল জানা, প্রভাবশালীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা না রেখেও সম্পর্ক ম্যানেজ করা, আবার কখন কথা বলা যাবে, কখন চুপ থাকতে হবে-এসব কৌশল জানা প্রয়োজন।

১০. শারীরিক ও মানসিক স্ট্যামিনা: জেলার সাংবাদিকদের কাজের কোন নির্দিষ্ট ধরন, সময়, পরিবেশ কিছু নেই। তাকে প্রায়ই জেলার একপ্রান্ত থেকে আরেকে প্রান্তে ছুটে বেড়াতে হয়। দুর্গম পথে যাতায়াত, দুর্যোগের সময় নিউজ কাভার করতে গিয়ে ঝুঁকিও নিতে হয়। এছাড়া কোন কোন ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় বা রাত-বিরাতেও কাজে বের হতে হয়। এজন্য শরীর ও মানসিকতা সেভাবেই প্রস্তুত রাখতে হয়।

১১. নিজেকে আপডেট রাখা: জেলার সাংবাদিক শুধু সংবাদের তথ্য ও ফুটেজ সংগ্রাহক নন, তিনি নিজের এলাকাকে সারাদেশ ও দুনিয়ার সামনে তুলে ধরেন। তাই তার মধ্যে থাকতে হবে- স্থানীয় বাস্তবতা ও আইন সম্পর্কে জ্ঞান; সততা, সাহস ও নিরপেক্ষতার গুণ; প্রতিবেদন লেখা, তথ্য যাচাই, ছবি/ভিডিও সংগ্রহের দক্ষতা। তার নিয়মিত অভ্যাস থাকতে হবে- জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ের খবর রাখতে সংবাদ পড়ার, বই পড়ার। সংবাদ লেখার অনুশীলন ও কৌশল জানা।

১২. জবাবদিহিতার মানসিকতা ও সহনশীলতা: জেলার সাংবাদিককে সব ধরনের সমালোচনা গ্রহণ করার মানসিকতা থাকতে হয়। ভুল স্বীকার করা ও সংশোধনের সদিচ্ছা থাকতে হয় এবং প্রতিবাদ, চাপ ও হুমকির মুখে দায়িত্ব পালনের সাহস হারানো যাবে না। এছাড়া সংবেদনশীল ইস্যুতে প্রতিবেদন করার সাহস, সংকটকালে দায়িত্বশীল আচরণ, দুর্যোগ, সহিংসতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে মানবিক অবস্থান স্পষ্ট করতে হয়।

১৩. নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে গড়ে তোলা: স্থানীয়/জাতীয় সংবাদপত্র/অনলাইন/টেলিভিশনে ইন্টার্নশিপ করার চেষ্টা করতে হবে। ফ্রিল্যান্স রিপোর্টিং করার চেষ্টা থাকতে হবে। তবে ফেক নিউজ এড়িয়ে চলতে হবে, কোনো খবর প্রচারের জন্য পাঠানোর আগে ২/৩টি সূত্র থেকে যাচাই করতে হবে। মানহানি বা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের বিষয়ে স্পষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে। প্রয়োজনে আইনি ও নৈতিক সাংবাদিকতা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

১৪. জেলায় নারীদের সাংবাদিকতা: জেলা পর্যায়ে নারীদের এককভাবে সাংবাদিকতা করা বড় চ্যালেঞ্জ, এখনো প্রশ্নের মুখে। স্থান, সময়, পরিবেশ, সামাজিক বাধা এবং নিরাপত্তাহীনতাই এর বড় কারণ। চলবে…

Disclaimer
This writing is not intended to target any individual, organization, government or non-government institution or any media outlet. Furthermore, it is not meant to offend or provoke any disorder, religious belief, political affiliation, ideology, profession, ethnicity or gender identity.

Nazrul Islam Tomal
Country Editor
Independent Television
Dhaka.

লেখক: নজরুল ইসলাম তমাল, কান্ট্রি এডিটর, ইন্ডিপেন্ডেট টেলিভিশন, ঢাকা।

০৩ আগস্ট ২০২৫


এ জাতীয় আরো খবর...