শিরোনামঃ
চলতি মাসেই ২০০ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে চায় বিএনপি শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে সুপার ওভারে হারল বাংলাদেশ নির্বাচন একটি যুদ্ধক্ষেত্র, আমাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষ থাকা: প্রধান উপদেষ্টা পর্ন তারকা যুগল ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডে জুবায়েদ হত্যা: জবানবন্দি শেষে কারাগারে মাহির ও বর্ষাসহ ৩ আসামি সালমান শাহ হত্যা: ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বিশদ আলোচনা অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনই তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকায় যেতে হবে: মির্জা ফখরুল জুবায়েদ হত্যা: বর্ষাসহ ৩ আসামির জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন পর্ন তারকা যুগলের ৭ দিনের রিমান্ড চাইল পুলিশ
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন

জুবায়েদ হত্যায় ছাত্রী বর্ষাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. জুবায়েদ হত্যার ঘটনায় তার ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষা (১৯) ও তার প্রেমিক মো. মাহির রহমান (১৯) সহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে বংশাল থানায় এ মামলা দায়ের করে জুবায়েদের ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত। মামলার অন্য আসামি হলেন ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০) ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো. জুবায়েদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি টিউশন করতেন। প্রতিদিনের মত তিনি রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে বংশাল থানাধীন ৩১নং ওয়ার্ডস্থ নুর বক্স লেন এর ১৫নং হোল্ডিং রৌশান ভিলায় বর্ষাকে পড়ানোর জন্য যান। একই তারিখে সন্ধ্যা প্রায় ৫টা ৪৮ মিনিটের সময় ছাত্রী বর্ষা জুবায়েদ হোসেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই সৈকতকে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে জানায় যে, জোবায়েদ স্যার খুন হয়ে গেছে, কে বা কারা জোবায়েদ স্যারকে খুন করে ফেলছে।

এ ঘটনার বিষয়টি একই তারিখ রাত অনুমান ৭টার সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. কামরুল হাসান মামলার বাদী জুবায়েদের ভাইকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানান। সৈকত তার শ্যালক শরীফ মোহাম্মদকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল – যোগে ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থল রৌশান ভিলায় পৌঁছান।

সৈকত জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে তার পরিচিত বড় ভাই অ্যাড. ইশতিয়াক হোসাইন জিপু সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল রৌশান ভিলা ভবনের নিচতলা থেকে উপরে উঠার সময় আমি ও ইশতিয়াক ভাই সিঁড়ি এবং দেয়ালে রক্তের দাগ দেখতে পাই। ওই ভবনের ৩য় তলার রুমের পূর্ব পার্শ্বে সিঁড়িতে নিয়ে গেলে সিঁড়ির উপর জুবায়েদ এর রক্তাক্ত মরদেহ উপুড় অবস্থায় দেখতে পান।

সুরতহাল প্রস্তুত করার সময় তার গলার ডান পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনের নিকট হতে জেনে এবং আশপাশ এলাকার সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে উল্লিখিত আসামীসহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা আমার ভাইকে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার ডান পাশে আঘাত করে হত্যা করেছে মর্মে নিশ্চিত হই।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত্যুর ৪১ ঘণ্টা পর বংশাল থানা পুলিশ এই মামলা গ্রহণ করে। মামলার বাদী এনায়েত হোসেন সৈকত বলেন, আমাদের পরিবারের সকল সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করেই আমি বাদী হয়ে মামলা করেছি। গতকাল আমাদের মানসিক অবস্থা ভালো না থাকায় মামলা করতে একদিন দেড়ি হয়েছে। মামলায় যারা প্রকৃত আসামি আমরা তাদের নাম উল্লেখ করেই মামলা করেছি। আমরা চাই কোন নির্দোষ ব্যক্তি যেন ফেঁসে না যায় যারা প্রকৃত অপরাধী তারাই শাস্তি পাক। মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করেছি তাদের সকলকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। এজন্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা সুস্থ বিচার চাই।


এ জাতীয় আরো খবর...