শিরোনামঃ
চলতি মাসেই ২০০ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে চায় বিএনপি শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে সুপার ওভারে হারল বাংলাদেশ নির্বাচন একটি যুদ্ধক্ষেত্র, আমাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষ থাকা: প্রধান উপদেষ্টা পর্ন তারকা যুগল ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডে জুবায়েদ হত্যা: জবানবন্দি শেষে কারাগারে মাহির ও বর্ষাসহ ৩ আসামি সালমান শাহ হত্যা: ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বিশদ আলোচনা অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনই তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকায় যেতে হবে: মির্জা ফখরুল জুবায়েদ হত্যা: বর্ষাসহ ৩ আসামির জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন পর্ন তারকা যুগলের ৭ দিনের রিমান্ড চাইল পুলিশ
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন

জুবায়েদ হত্যা: জবানবন্দি শেষে কারাগারে মাহির ও বর্ষাসহ ৩ আসামি

স্টাফ রিপেোর্টার
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. জুবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বার্জিস শাবনাম বর্ষা, তার প্রেমিক মাহির রহমান, ফারদীন আহম্মেদ আয়লান। এছাড়া মাহিরের বন্ধু প্রীতম চন্দ্র দাস এ মামলায় সাক্ষ্য দেন।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের পৃথক চার আদালত তাদের জবানবন্দি ও সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে মেহেদী হাসানের আদালতে মাহির, মাসুম মিয়ার আদালতে বর্ষা ও জুয়েল রানার আদালতে আয়লার জবানবন্দি দেন। এরপর তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
 
আসামিরা স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক মো. আশরাফ হোসেন জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। আদালত পৃথক চার আদালতে ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
 
এদিন সকালে নিহত জুবায়েদের ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত বাদী হয়ে রাজধানীর বংশাল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নিহত জুবায়েদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করাতেন। গত ১৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি বংশাল থানাধীন ৩১নং ওয়ার্ডের নুর বক্স লেনের ১৫নং হোল্ডিং ‘রৌশান ভিলায়’ পড়ানোর জন্য যান।
 
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য আসে ওই ছাত্রীর মাধ্যমেই। অভিযোগমতে, ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যা প্রায় ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে ওই ছাত্রী (বর্ষা) জুবায়েদ হোসেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই সৈকতকে মেসেঞ্জারে জানায় যে, ‘জুবায়েদ স্যার খুন হয়ে গেছেন, কে বা কারা তাকে খুন করে ফেলেছে।’
 
খবরটি ওইদিন রাত আনুমানিক ৭টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. কামরুল হাসান জুবায়েদের ভাই এনায়েত হোসেনকে মোবাইল ফোনে জানান। খবর পেয়ে এনায়েত তার শ্যালক শরীফ মোহাম্মদকে সঙ্গে নিয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থল রৌশান ভিলায় পৌঁছান। ভবনের নিচতলা থেকে ওপরে ওঠার সময় তিনি সিঁড়ি এবং দেয়ালে রক্তের দাগ দেখতে পান। পরবর্তী সময়ে ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষের পূর্ব পার্শ্বের সিঁড়িতে জুবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উপুড় অবস্থায় দেখতে পান তিনি।
ময়নাতদন্ত শেষে গত ২০ অক্টোবর জুবায়েদকে নিজ গ্রাম কুমিল্লার কৃষ্ণপুর গ্রামে দাফন করা হয়।


এ জাতীয় আরো খবর...