ফেনীর মুহুরী-কহুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন (১ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে শহরের গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, পানি উন্নয়ন বোর্ড এর পরিকল্পনা দপ্তর ও মাঠ দপ্তরের কর্মকর্তা এবং ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং এর প্রতিনিধিগণের সাথে স্থানীয় অংশীজনদের মতবিনিময় সভা হয়।
পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় ও জেলা প্রশাসনের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। সমীক্ষা প্রকল্পের উপর বিস্তারিত তুলে ধরেন আইএমএম পরিচালক তপন কান্তি মজুমদার। বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ছায়েদুজ্জামান ও পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব যতন মারমা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফেনী সার্কেলের সুপার হাসান মাহমুদ।
বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ফেনী-২ আসনের একাধিকবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ওরফে ভিপি জয়নাল বলেন, সকলের উদ্যোগে সম্মিলিত প্রয়াসে প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলে এই অঞ্চলের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘোব হবে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, এ কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। কোন রকমের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা যাবে না।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ফেনীবাসীর কল্যাণে সবাইকে একাত্ম হতে হবে। একনেকে পাশ করতে এই ইউনিটি ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সবাই মিলে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। দূর্নীতির ব্যাপারে সবাই সজাগ থাকতে হবে।
জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, প্রশাসন বলতে আমলাতান্ত্রিক সীমাবদ্ধতাকে জানি। প্রশাসনকে গনমুখী করেছে এই সভা। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এই সভা প্রতিফলন হচ্ছে।
সাবেক এমপি রেহানা আক্তার রানু বলেন, সংস্কারের অভাবে অনেক খাল মরে গেছে। এসব খালের জীবন দিতে হবে।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব ছায়েদুজ্জামান জানান, প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় এ যাবত বরাদ্দ দেয়নি। এটাই প্রথমবারের মত মেগাপ্রজেক্ট। এ কাজে শেষমুহুর্ত পর্যন্ত সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত মুহুরী-কহুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের পূনর্বাসন (১ম পর্যায়) প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ফেনী জেলায় দীর্ঘমেয়াদী বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও জলাবদ্ধতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত মুহুরী-কহুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের পূনর্বাসন (১ম পর্যায়) প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ফেনী জেলায় দীর্ঘমেয়াদী বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও জলাবদ্ধতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মুক্ত আলোচনায় আরও অংশ নেন ঢাকা মহানগর দক্ষিন আহ্বায়ক ও বিগত জাতীয় সংসদে ফেনী-১ নির্বাচনী আসনের সমন্বয়ক রফিকুল আলম মজনু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-গ্রাম সরকার সম্পাদক বেলাল আহমদ, সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব, জিয়াউদ্দিন আহমেদ মিষ্টার, জামায়াতের জেলা আমির মুফতি আবদুল হান্নান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি ডা. মোহাম্মদ ফখরুদ্দীন মানিক, বিএনপির জেলা সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, যুগ্ম-আহবায়ক এম এ খালেক, গাজী হাবিবুল্লাহ মানিক, এয়াকুব নবী ও আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারি, জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক আবু ইউসুফ, সেক্রেটারি মুহাম্মদ আবদুর রহীম, ডেইলি স্টার প্রতিনিধি আবু তাহের, বাসস প্রতিনিধি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, দৈনিক ফেনী সম্পাদক আরিফুল আমিন রিজভী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠক নাজমুল হক শামীম, হেফাজতের সেক্রেটারি মাওলানা ওমর ফারুক, গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক শহীদুল্লা বাহার, খেলাফত মজলিসের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারি একরামুল হক, এবিপার্টির ফেনী পৌর শাখার আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ সেলিম, শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি ফারুক হারুন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোহাম্মদ সোলায়মান, এনসিপি কেন্দ্রীয় সদস্য আজিজুর রহমান রিজভী ও জাহিদুল ইসলাম সৈকত প্রমুখ।
দিনব্যাপী মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন যুগান্তর প্রতিনিধি যতন মজুমদার, সময় টিভির সহযোগি সিনিয়র রিপোর্টার আতিয়ার সজল, যুগান্তর দাগনভূঞা প্রতিনিধি আবু তাহের, ফেনী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক বজলুল করিম মজুমদার হারুন, দাগনভূঞা উপজেলা জামায়াতের আমির গাজী ছালাহ উদ্দিন, জেএসডি দাগনভূঞা সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব নঈম উল্যাহ চৌধুরী বরাত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল আজিজ, ওমর ফারুক, স্বেচ্ছাসেবক ওসমান গনি রাসেল, নুর নবী হাসান, ফয়জুল্লাহ নোমানী, ব্র্যাকের জেলা প্রতিনিধি ওমর ফারুক, আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর মো: সাগর, পরশুরাম পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু তালেব, চিথলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হালিম, মির্জানগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা নুর মোহাম্মদ, ছাগলনাইয়ার জাফর আহমদ মোল্লা, সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক জেলা যুগ্ম-সম্পাদক মোর্শেদ হোসেন, দৈনিক নয়া পয়গাম সম্পাদক এনামুল হক, মাছুম বিল্লাহ, চরছান্দিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুদ্দীন খোকন, বক্তারমুন্সী শেখ শহীদুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজের সভাপতি ড. মিজানুর রহমান, ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, আনন্দপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা হীরা লাল চক্রবর্তী, মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা জামাল উদ্দিন চৌধুরী, জিএমহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা আজিজ উল্যাহ আহমদী, সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক উপজেলা সাধারন সম্পাদক কবির আহমদ নাসির, সমকাল প্রতিনিধি দিলদার হোসেন স্বপন ও জহিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, পরশুরাম প্রেস ক্লাব সভাপতি এম এ হাসান ও সাধারন সম্পাদক মো: মহিউদ্দিন, সহ-সভাপতি গাজী মাসুদ রানা, ফুলগাজী বাজার কল্যান সমিতির আহবায়ক শহীদুল ইসলাম, দক্ষিন শালধর এলাকার রফিকুল ইসলাম, ব্যবসায়ী ওমর ফারুক, স্বেচ্ছাসেবক তারেক হাসান।