স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালে সর্বশেষ ফেনী সরকারি কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে। সেই সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ একতরফাভাবে বিনাভোটে ছাত্র সংসদের সব পদ দখলে নেয়। একটি কলেজের প্রাণ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। আর শিক্ষার্থীদের যাবতীয় দাবি-দাওয়া তুলে ধরার অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ছাত্র সংসদ। এটি শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্বাধীনভাবে কাজ করে। ছাত্র সংসদ হচ্ছে এমন একটি কার্যনির্বাহী পরিষদ যেটি ছাত্রদের মধ্যে প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যাবতীয় সমস্যার সমাধান ও দাবি-দাওয়া আদায়ের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চেতনা ও স্বাধিকার আন্দোলনের অন্যতম সূতিকাগার হলো এই ছাত্র সংসদ। সুতরাং ফেনী সরকারি কলেজের ২২ হাজার শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্বের জন্য কলেজ ছাত্র সংসদ (ফেকসু)-এর প্রয়োজনীয়তা অত্যাবশ্যক।
শিক্ষার্থীরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের রূপরেখা এবং অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ এনামুল হক খন্দকার বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। নির্দেশনা পেলে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সহযোগিতা নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত; দীর্ঘ ২৭ বছর পর ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল ফেনী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ (ফেকসু) নির্বাচন হয়। ওই বছরের ৩০ মার্চ এককভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে তোফায়েল আহমেদ তপু ভিপি এবং জিএস রবিউল হক ভূঁইয়া রবিন নেতৃত্বাধীন প্যানেল বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। প্যানেলে আশিক হায়দার রাজন হাজারী এজিএস, নুর করিম জাবেদ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক এবং নোমান হাবিব তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক নির্বাচিত হন।