শিরোনামঃ
দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি পেল বিএনপি, অপেক্ষায় আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স এক বছর পর মেসির হ্যাটট্রিক, বড় জয়ে প্লে-অফে মায়ামি সন্ধ্যার মধ্যেই যেসব জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির আভাস প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখান, আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা হবিগঞ্জে দুই গ্রামের সংঘর্ষ অগ্নিসংযোগের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেলে কঠোর পদক্ষেপ নেবে সরকার পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে ফের যুদ্ধবিরতি ৭ ঘণ্টা পর ওসমানী বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা স্বাভাবিক তদন্ত শেষে বোঝা যাবে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি খুলনায় কারাগারে কয়েদিদের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৪৪ অপরাহ্ন

হবিগঞ্জে দুই গ্রামের সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইমামবাড়ি বাজারে মিষ্টির কার্টনে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে বিরোধের জেরে টর্চ জ্বালিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের ইমামবাড়ি বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১০ অক্টোবর বানিয়াচং উপজেলার সন্দলপুর গ্রামের আমির উদ্দিনের মালিকানাধীন ইমামবাড়ি বাজারের ‘ভাই ভাই হোটেল’ থেকে কালিয়ারভাঙ্গা গ্রামের সাদমান আহমেদ ইমন মিষ্টি কেনেন। মিষ্টির কার্টনের অতিরিক্ত ওজন ধরা পড়লে ইমন বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন। এই পোস্টকে কেন্দ্র করে হোটেল মালিক পক্ষ ও সাদমান আহমেদ ইমনের পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

শনিবার সন্ধ্যার পর এই উত্তেজনা চূড়ান্ত রূপ নেয়। উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়, যার জেরে দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ না থাকায় ও চারদিকে অন্ধকার থাকায় সংঘাতকারীরা টর্চ জ্বালিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে দ্রুত নবীগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

গুরুতর আহত ব্যক্তিদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং অন্যদের হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী এবং সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘দুই গ্রামের সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ইমামবাড়ি বাজারের সব দোকান রোববার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সকালে মাইকিং করে বিষয়টি সবাইকে জানানো হবে।’


এ জাতীয় আরো খবর...