শিরোনামঃ
পিআরের দাবিতে আন্দোলনকারীরা নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টায় নেমেছে: মির্জা ফখরুল পাল্টা হামলায় ৫৮ পাক সেনা হত্যার দাবি আফগানিস্তানের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব এহসানুল হক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে লাইভ চলাকালে ফেসবুক পেজে সাইবার হামলা: চিফ প্রসিকিউটর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু ইতালির উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা একা গিয়ে কী করবো, সেফ এক্সিট নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব রক্ষায় সংশ্লিষ্ট অপরাধের সুষ্ঠু ও নির্মোহ বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: বিএনপির বিবৃতি আর কোনো সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই : প্রেস সচিব পরোয়ানা জারি হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে: সেনাবাহিনী
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন

গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যা নিয়ে যা বলছে পুলিশ; আটক ৫

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫
গাজীপুরে নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন-ফাইল ছবি

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা। তারা দেশী অস্ত্র নিয়ে বাদশা নামের এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করেছিল। সাংবাদিক তুহিন সেই দৃশ্য মুঠোফোনে ভিডিও করেছিলেন। যে কারণে তাকে ধাওয়া করে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থলের একটি দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত আটটার দিকে গাজীপুর নগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় আসাদুজ্জামান তুহিনকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতেন। তুহিন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বাস করতেন।

ওই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-কমিশনার রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা সাংবাদিক তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যাই। সেখানে গিয়ে তুহিনকে মৃত দেখতে পাই। আমাদের তদন্তের প্রয়োজনে আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করি। সিসিটিভি ফুটেজে আমরা দেখতে পাই, একজন নারী রাস্তায় একজন পুরুষের সঙ্গে কোনো একটা বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে যান। সে সময় একজন পুরুষ, একজন নারীকে আঘাত করেন। আঘাতের সঙ্গে সঙ্গে ওই নারীর পূর্ব পরিচিত ৪-৫ জন চাপতিসহ এসে ওই পুরুষকে আঘাত করেন। একপর্যায়ে ওই পুরুষকে আর সিসি ক্যামেরায় পাওয়া যায়নি। পরে আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, ওই পুরুষ জয়দেবপুর সদর হাসপাতালে আছেন। তার নাম বাদশা মিয়া। তার সঙ্গে আমাদের পুলিশের কথা হয়।

মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা তার (বাদশা মিয়া) মাধ্যমে এবং স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি, ওই ঘটনাটি সাংবাদিক তুহিন তার মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। পরে এই ঘাতকরা তুহিনকে চার্জ করেন। তিনি এই ভিডিও কেন করেছে তা জানতে চান এবং এটা ডিলিট করার জন্য বলেন। এরপর তুহিন যখন ডিলিট করতে রাজি হননি, কিংবা ভিডিওর বিষয়টি অস্বীকার করেন, তখন ওই অবস্থাতেই তার আরপর হামলা চালানো হয় এবং মেরে ফেলে।

জানা গেছে, গাজীপুর নগরের বাসন, ভোগরা ও চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় একটি চক্র আছে, যারা ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। সিসিটিভির ভিডিওতে যাঁদের দেখা গেছে, তারা সবাই ছিনতাইকারী দলের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ভিডিওতে যে নারীকে দেখা গেছে, তিনিও ওই চক্রের সদস্য হতে পারেন। চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে ওই চক্র ছিনতাই করে থাকে।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, মূলত একজন নারীকে কেন্দ্র করে প্রথমে একটি হামলার ঘটনা এবং পরে একটি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত আমাদের তদন্তে এর বাইরে অন্য কিছু উঠে আসেনি। আমরা ধারণা করছি, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের ওই নারী ছিনতাইকারী দলের সদস্য। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে এরই মধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে।’

তুহিন হত্যার ঘটনায় আটক ৫

এদিকে,  সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাত ও দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে ওই ৫ জনকে পুলিশ আটক করে। গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন খান জানান, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের বিভিন্ন টিম বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করে। এখন পর্যন্ত তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক। আসাদুজ্জামান তুহিন (৩৮), ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া এলাকার হাসান জামালের ছেলে।

একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবক এক তরুণীকে মারধর করছে। এ সময় ৬-৭ জন যুবক চাপাতি, রামদা ও ছুরি নিয়ে ওই যুবককে কোপানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে ওই যুবক দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় অস্ত্র হাতে ওই ৬-৭ জন যুবক পেছন থেকে তাকে ধাওয়া করে।

পুলিশের ধারণা এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন। এ সময় আসাদুজ্জামান তুহিন ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। কিছু সময় পর একটি দোকানের সামনে তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ক্রাইম-উত্তর) রবিউল হাসান বলেন, অন্যজনকে মারধর করার ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আসামিদের শনাক্ত করা হয়েছে।


এ জাতীয় আরো খবর...